অন্যান্য টিপস

গোপন ক্যামেরা শনাক্ত করবেন যেভাবে

অধিকাংশ জায়গায়ই সিসি ক্যামেরা নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকলেও বেশ কিছু জায়গায় খারাপ উদ্দেশ্যে গোপন ক্যামেরা লাগানো থাকে। নিজের প্রাইভেসি বিপন্ন হওয়ার আগে গোপন নজরদারির ব্যবস্থা আছে কীনা সেটা শনাক্ত করা অবশ্যই জরুরি। কোনো প্রাইভেট প্লেসে এই গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে কীনা তা বোঝা যাবে নিচের উপায়গুলোর মাধ্যমে:

আয়না বা গ্লাস পরীক্ষা করুন
কোনও প্রাইভেট প্লেসে গেলে প্রথমেই সেখানকার আয়না কিংবা গ্লাস পরীক্ষা করে দেখুন। দেখবেন আয়নাটি কীভাবে বসানো আছে। আয়নাটি কী দেয়ালে ঝোলানো, নাকি দেয়ালে লাগানো? নাকি দেয়ালের সঙ্গে একেবারে খোদাই করা অবস্থায় আছে? টু ওয়ে মিরর বা একপাশে আয়না ও অন্য পাশে স্বচ্ছ এমন গ্লাসগুলো সাধারণত দেয়ালে একেবারে খোদাই করা অবস্থায় থাকে।

আয়নাতে টোকা দিন
আপনার আঙুলের গিঁট দিয়ে আয়নাতে টোকা দিন। আয়না যেহেতু দেয়ালে বসানো আছে, সুতরাং নরমাল আয়না হলে তা সাধারণ ফ্ল্যাট আওয়াজ করবে। কিন্তু টু ওয়ে মিরর হলে আয়নায় আঘাত করলে ফাঁপা শব্দ করবে।

আয়নার ভেতরে খুব কাছে থেকে তাকান
এটা যদি টু ওয়ে মিরর হয় তাহলে আয়নার কাছে চোখ নিয়ে তাকালে আয়নার অন্য সাইড দেখা যাবে। আপনার মুখ আয়নাতে চেপে ধরুন এবং হাত দিয়ে মুখের সাইডে এমনভাবে ব্লক করুন যাতে কোনো আলো আয়নায় না পড়ে। এটা টু ওয়ে মিরর হলে আয়নার অপর পাশে কী আছে আপনি তা দেখতে পারবেন।

লাইট ব্যবহার করুন
কোনো ফ্লাশ লাইট বা সেলফোনের লাইট বা টর্চলাইটের আলো ফেলুন আয়নার ওপর। আয়নার খুব কাছে থেকে আলোটি ফেলুন। সম্ভব হলে ঘরের অন্য লাইট বন্ধ করে দিন, শুধু আপনার হাতের ওই আলোটি ছাড়া। এটা টু ওয়ে মিরর হলে, অন্য পাশে কী আছে যা দেখা যাবে।

নখ দিয়ে পরীক্ষা করুন
টু ওয়ে মিরর পরীক্ষা করার সবচেয়ে দুর্বল পদ্ধতি হলো নখ দিয়ে পরীক্ষা করা। এর ফলাফল নিখুঁত নাও হতে পারে। তবে এই পদ্ধতিও জেনে রাখা ভালো।

ব্যবহার করুন সেলফোন
সিকিউরিটি ক্যামেরা বা গোপন ক্যামেরা থেকে এক ধরনের ফ্রিকোয়েন্সি আসে যেটা মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়। যদি কোনো জায়গায় বা রুমে দেখেন আপনার মোবাইল ফোন সার্ভিস দিচ্ছে না এবং আপনার নজরে কোনো ক্যামেরাও পড়ছে না, তাহলে মনে করবেন সেখানে কাছাকাছি কোথাও গোপন ক্যামেরা আছে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *