সাম্প্রতিক সংবাদ

ক্যাশলেস ইকোনমি লেটস টক

ক.বি.ডেস্ক: সম্প্রতি দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) যুব প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার উদ্যোগে ‘‘ক্যাশলেস ইকোনমি লেটস টক’’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০ জনের বেশি তরুণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

ক্যাশলেস ইকোনমি লেটস টক শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ; আমার দেশ, আমার গ্রামের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাদেকা হাসান সেজুতি; বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারপারসন তানজিবা রহমান। সঞ্চালনা করেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাহশ মোস্তাফিজ।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হতে চায়। ক্যাশলেস ইকোনমি হলো ভিশন বাস্তায়িত করার হাতিয়ার। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের নির্দেশনায়, আমরা একটি আন্তঃপরিচালনাযোগ্য ডিজিটাল লেনদেন প্ল্যাটফর্ম বিনিময় তৈরি করছি। এটা দেশে নগদবিহীন অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করবে। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের প্রথম ক্যাশলেস ক্যাম্পাসে পরিণত করার ঘোষণা দেন তিনি। এজন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, দেশ জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ উপভোগ করছে। এটাকে কাজে লাগাতে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। জনগণই নগদবিহীন অর্থনীতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির হাতিয়ার। বাংলাদেশের জনগণ একটি নগদবিহীন অর্থনীতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে দেশের উত্তরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আমরা একটি নতুন সীমান্তের দ্বারপ্রান্তে আছি এবং আমাদের এই নতুন সীমান্তকে আলিঙ্গন করতে হবে।

সাদেকা সেজুতি বলেন, ২০০৮-০৯ সালে বাংলাদেশে কোনো পেমেন্ট গেটওয়ে ছিল না, ই-কমার্সও ছিল না। ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তায়িত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, দেশে এখন জাতীয় পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম রয়েছে, যা বিকাশমান মোবাইল আর্থিক সেবাগুলোকে অনুঘটক করেছে। নগদবিহীন অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে, আমাদের গ্রামীণ কৃষকদের নগদহীন লেনদেনের সঙ্গে একীভূত করতে হবে যেখানে একজন কৃষক নগদবিহীন উপায়ে উপার্জন করতে, ব্যয় করতে ও সঞ্চয় করতে সক্ষম হবেন।

তানজিবা রহমান বলেন, আমরা ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে অনেক সময় ও ঝামেলা বাঁচাতে পারি। বিনিময়ে সে সময়ের মধ্যে, আমরা খুব সামান্য পরিমাণ সার্ভিস চার্জ দিতে পারি। যাইহোক, যদি আমরা এখনও চার্জ দিতে না চাই, তাহলে আমাদের ডিজিটাল থেকে ডিজিটাল লেনদেনকে অবলম্বন করতে হবে যাতে, আমাদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ক্যাশ আউট চার্জ দিতে না হয়।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *