অন্যান্য মতামত সাম্প্রতিক সংবাদ

ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করে জিডিপি ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব

ক.বি.ডেস্ক: এরিকসনের (নাসডাক: এরিক) সহায়তায় সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। এতে দেখা যায়, ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্বল্পতা থাকা দেশগুলোর স্কুলগুলোতে ইন্টারনেট সংযুক্ত করার মাধ্যমে ওই দেশগুলোর জিডিপি ২০ শতাংশ র্পযন্ত বাড়ানো সম্ভব। ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম গ্লোবাল কমপিটিটিভনেস সূচক (২০১৭) ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক হিউম্যান ক্যাপিটাল সূচক (২০১৭) দুটিতেই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ ও শিক্ষার মানের পারস্পরিক সর্ম্পক স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইআইইউ’র বিশ্লষণেও দেখা গেছে যে কোনও দেশের স্কুল কানেক্টেভিটি প্রতি ১০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য মাথাপিছু জিডিপি ১.১ শতাংশ বাড়তে পারে।

ইআইইউ’র প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে, স্কুল কানেক্টেভিটি কীভাবে শিক্ষার ক্ষেত্রে সুফল নিয়ে আসতে পারে এবং শিশুদের সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের সুযোগ তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি এটি অর্থনৈতিক বিকাশ ও কমিউনিটিগুলোর উন্নয়নেও অবদান রাখবে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে শিশুদের জন্য ব্যক্তিপর্যায়ে এমন সুবিধা সামগ্রিকভাবে দেশের উচ্চ আয়, উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও সবার সুস্থতা নিশ্চিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এই সুযোগ-সুবিধাগুলো শিশুদের উন্নয়ন ছাড়াও বৃহত অর্থে সমাজের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখবে। প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে যে, সকল বয়সের স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট কানক্টেভিটি একটি বৈশ্বিক বাস্তবতায় রূপান্তরের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণে বিশ্বব্যাপী সরকারি, বেসরকারি ও এনজিও খাতের নেতৃবৃন্দের যৌথ প্রচেষ্টায় নাটকীয় পরিবর্তন আনতে পারে।

এর ধারাবাহকিতায়, এরিকসন সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের আহ্বান জানাচ্ছে ইউনিসেফ ও ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্কুল কানক্টেভিটি বিষয়ক উদ্যোগ ‘গিগা’ কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানের জন্য। সংশ্লিষ্ট অংশীদাররা আর্থিক অনুদান, তথ্য প্রদান, প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও কানক্টেভিটির জন্য টেকসই ব্যবসায়িক মডেল তৈরির এই কার্যক্রমগুলোর মাধ্যমে এ উদ্যোগে যুক্ত হতে পারেন। ৩৫টি দেশের স্কুল কানক্টেভিটির অসমতা চিহ্নিতে ইউনিসেফের সঙ্গে তিন বছরের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এরিকসন এক্ষেত্রে এর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এরিকসনের সাসটেইনেবিলিটি ও করপোরেট রেসপন্সিবিলিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হেদার জনসন বলেন, যখন গিগা উদ্যোগের ব্যাপারে ঘোষণা করা হয়, তখনই আমরা তাতক্ষণিকভাবে এর ইতবিাচক প্রভাব সর্ম্পকে বুঝতে পেরেছিলাম। এ উদ্যোগ সারা বিশ্বের শিশুদের জন্য উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন দেশের মধ্যকার ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। প্রতিবেদনের মাধ্যমে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, ব্যবসায়িক, সরকারি ও এনজিও খাতের নেতৃবৃন্দের মধ্যে অংশীদারিত্ব বিষয়ের সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে এবং মানুষের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। যত বড় বা ছোটই হোক না কেন, খাতসংশ্লিষ্ট প্রত্যেক অংশীদারই এক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখতে পারে।

ইউনিসেফের পার্টনারশিপের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শার্লট পেত্রি গোর্নিজকা বলেন, কমিউনিটিগুলোতে কানক্টেভিটি অসমতা নির্ণয় করতে আমরা একসঙ্গে বিশ্বব্যাপী স্কুলগুলো ম্যাপিং করছি। স্কুলগুলোকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করতে ও মানসম্মত ডিজিটাল শিক্ষাদান নিশ্চিতে অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ; এটিই লক্ষ্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি। এর মাধ্যমে প্রত্যেক শিশু ও তরুণ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।’

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *