সাম্প্রতিক সংবাদ

‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৩’ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ

ক.বি.ডেস্ক: আইসিটি বিভাগের প্রস্তুত করা ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৩’ এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে সরকারি, বেসরকারি সব শিল্প কারখানার প্রক্রিয়া ও উদ্ভাবনী তথ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত দেশীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির গোপনীয় তথ্যের সুরক্ষা প্রয়োজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’-এর খসড়া প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই আইনটি উপস্থাপন করেন।

‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’-এর খসড়া পরিমার্জন ও চূড়ান্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাভাষা বাস্তবায়ন কোষ (বাবাকো)’ কর্তৃক প্রমিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে অংশীজনদের মতবিনিময়ের মাধ্যমে আইনটির খসড়া পুনরায় পরিমার্জন করা হয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ‘আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক মতামত প্রদান সংক্রান্ত কমিটি’ কর্তৃক খসড়া আইনটি মন্ত্রিসভা-বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, ‘‘তথ্য এখন সবচেয়ে বড় রিসোর্স। এই ডিজিটাল যুগে তথ্য ব্যবহার সবচেয়ে বেশি কৌশলগত রিসোর্স হিসেবে পরিগণিত হয়। তথ্যটাই হলো এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ। সেক্ষেত্রে যাতে তথ্য ব্যবহারের ব্যবস্থাপনা কিংবা একজন ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির গোপনীয়তা, ব্যক্তি স্বতন্ত্র এবং তার যে সম্মতির প্রয়োজন হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হবে। সেই বোর্ড এই ব্যাপারগুলো দেখাশোনা করবে।’’

তিনি আরও জানান, ‘‘উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান থাকবেন এবং চারজন সদস্য থাকবেন। অন্যান্য সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর মতই এই বোর্ড পরিচালিত হবে। উপাত্ত যারা সংগ্রহ করবেন তাদের জন্য অনুসরণীয় কিছু নীতিমালা থাকবে, কিছু বিধি-বিধান থাকবে। বোর্ড বিধি-বিধান তৈরি করবে এবং সেই বিধি-বিধানের আলোকে সবার তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং তথ্য বিতরণ করতে হবে। যারা তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করবেন, তাদের বোর্ডের কাছে নিবন্ধিত হতে হবে। নিবন্ধনের ভিত্তিতে তারা এ কাজগুলো করতে পারবেন। সেই বিধান রেখে এই আইনটি করা হচ্ছে।’’

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *