আনুষাঙ্গিক মোবাইল

ল্যাপটপের বাইপাস চার্জিং প্রযুক্তি এখন স্মার্টফোনে

ক.বি.ডেস্ক: বাইপাস শব্দটি প্রায় সবার কাছেই পরিচিত। বিভিন্ন অর্থে আমরা এই শব্দ ব্যবহার করে থাকি। এই যেমন, বিকল্প রাস্তা, হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচলের নতুন পথ, অথবা চার্জিং প্রযুক্তি হিসেবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই শব্দটি বিকল্প কোনো পদ্ধতি বা রাস্তা বোঝায়। বাইপাস যখন চার্জিং প্রযুক্তি, তখন এর মাধ্যমে ল্যাপটপ কাজ করবে ব্যাটারির সাহায্য ছাড়াই, শুধু চার্জারে যুক্ত থেকে। তাই নিরাপদ ও সেরা পারফরম্যান্স পেতে এখন স্মার্টফোনেও এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।

ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ বাজারে আসার পর, স্মার্টফোন বাজারে আবারো আলোচনায় বাইপাস চার্জিং প্রযুক্তি। এর আগে স্যামসাং, সনি, আসুস এবং অন্যান্য কিছু উচ্চমূল্যের স্মার্টফোনে এই প্রযুক্তি পাওয়া যেত। কিন্তু মাঝারি দামের স্মার্টফোনে সম্প্রতি ইনফিনিক্স এই প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে।

সাধারণত, চার্জারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় প্রথমে ল্যাপটপের ব্যাটারি চার্জ হয় এবং এরপর ব্যাটারি থেকে পাওয়ার নিয়ে ডিভাইসটি চলে। এর মানে হলো শক্তির উৎস প্রধানত একটি। তাহলে ল্যাপটপের বাইপাস চার্জিংয়ের অবদান কী এখানে? এই প্রযুক্তি থাকার ফলে, ব্যাটারিকে সম্পূর্ণভাবে পাশ কাটিয়ে, ডিভাইস সরাসরি চার্জার থেকে শক্তি গ্রহণ করতে পারে। এই দুই ধরনের শক্তির উৎসের সাহায্যে আমরা ল্যাপটপ থেকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা পেতে পারি।

বাইপাস চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে আমাদের স্মার্টফোনগুলোও এখন একইভাবে কাজ করতে সক্ষম হচ্ছে। ব্যাটারি সাহায্য ছাড়াই ফোন এখন ওয়াল চার্জারে রেখেই কাজ চালিয়ে যাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে যেহেতু কোনো ব্যাটারির ব্যবহার নেই, তাই ব্যাটারি পার্সেন্টেজ বাড়বেও না, কমবেও না। ফোনের মাদারবোর্ড সরাসরি শক্তি গ্রহণ করে ফোন চালু রাখে। বাইপাস চার্জিং মোড ব্যবহার না করলে ফোনটি সাধারণ মোডে ফেরত আসবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের স্মার্টফোনে এই উন্নত প্রযুক্তি কেন প্রয়োজন?

বর্তমানে সাধারণ কাজ, বিনোদন বা গেমিং ইত্যাদি প্রয়োজনে আমরা স্মার্টফোনেই থাকি সারাদিন। এমনও সময় আসে যখন আমাদের স্মার্টফোনকে চার্জে রেখেই কাজ করে যেতে হয়। সাধারণত, চার্জিংয়ের সময় ফোন অনেক তাপ উৎপন্ন করে। ভিডিও এডিটিং বা গেমিংয়ের মতো কাজ করার সময় এই তাপ বেড়ে দ্বিগুণ হয়, যা ফোনের জন্য খুবই বিপজ্জনক।

স্মার্টফোনের ব্যাটারি ও অন্যান্য অংশের জন্য অতিরিক্ত তাপ ক্ষতিকর। গরম ফোন হাতে ধরে রাখাও খুব একটা সুখকর অনুভূতি নয়। সুতরাং, চার্জার প্লাগ-ইন করার সময় বাইপাস চার্জিং মোড চালু থাকলে স্মার্টফোন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ ব্যাটারিতে পাঠায়। এরপর বাকি শক্তি ফোনের মাদারবোর্ডে পাঠিয়ে দেয়। অর্থাৎ, মাদারবোর্ডে পাওয়ার সাপ্লাইকে বাইপাস করে দেয়।

অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তিসম্পন্ন ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন ব্যাটারি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ হওয়ার পর এই চার্জ বাইপাস হয়ে যায়। নোট ৩০ এবং নোট ৩০ প্রো এই দুটি মডেল এই সিরিজের অন্তর্ভুক্ত।

বাংলাদেশের বাজারে নোট ৩০ প্রো স্মার্টফোনটি পাওয়া যাচ্ছে ২৭,৯৯৯ টাকায়। এর সঙ্গে ২,০০০ টাকা সমমূল্যের একটি ওয়্যারলেস চার্জার ক্রেতারা পাচ্ছেন বিনা মূল্যে। নোট ৩০ স্মার্টফোনের ৮ জিবি+১২৮ জিবি এবং ৮ জিবি+২৫৬ জিবি’র দুটি ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ১৮,৯৯৯ এবং ২৩,৯৯৯ টাকায়।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *