উদ্যোগ

‘স্মার্ট রাজশাহী সিটি’ বাস্তবায়নে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন’র সঙ্গে এটুআই’র চুক্তি

ক.বি.ডেস্ক: ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে উত্তরবঙ্গের শিক্ষা নগরী রাজশাহীকে ‘স্মার্ট রাজশাহী সিটি’ বিনির্মাণে এটুআই এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এক সঙ্গে কাজ করবে। এলক্ষ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন এবং এটুআই’র যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক মো. ছাইফুল ইসলাম।

গতকাল মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন’র মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে এটুআই এবং আইসিটি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে রাজশাহী সিটির স্মার্ট রূপান্তর নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘অটোমেশন অন সিটিজেন সার্ভিস’ বিষয়ে উপস্থাপনা করেন এমসিসি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সানি মো. আশরাফ খান, ‘স্মার্ট কর্মসংস্থান’ বিষয়ে উপস্থাপন করেন এটুআই’র স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ইনোভেশন স্পেশালিস্ট এইচ.এম. আসাদ-উজ-জামান এবং স্মার্ট রাজশাহী সিটি বিনির্মাণে ‘স্মার্ট প্ল্যানিং’ বিষয়ে উপস্থাপনা করেন এটুআই’র চিফ ই-গভর্ন্যান্স স্পেশালিষ্ট ফরহাদ জাহিদ শেখ।

মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আইসিটি বিভাগ রাজশাহীতে অনেক কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। এখন রাজশাহীতে মানুষদের সরাসরি অফিসে এসে নাগরিক সুবিধা নিতে হয় না, তারা বাড়িতে বসে অনলাইনে সুবিধাগুলো নিতে পারছেন। এতে সময়, ব্যয় ও যাতায়াত সবই সাশ্রয় হচ্ছে। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আমরা পরপর তিনবার চ্যাম্পিয়ন হই। ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামে আমরা ১১ বার দেশসেরা হয়ে আছি। আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই। এখন আমরা স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছি। এটুআই এবং আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় সেই স্বপ্ন পূরণ করে স্মার্ট বাংলাদেশের যে ভিশন আছে তা পূরণ করতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার, জয় স্যালিকন টাওয়ার নির্মাণ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের জায়গা হয়েছে। আমরা গ্রামের তরুণ-তরুণীদের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছি। আমরা দুটি নগরীকে প্রথম পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে স্মার্ট নগরী হিসেবে বাস্তবায়ন করতে চাই। প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে রাজশাহী সিটিকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করে অন্যান্য শহরের সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। দ্বিতীয় শহর হিসেবে আমরা কক্সবাজারকে স্মার্ট নগর বা স্মার্ট সিটি হিসেবে বাস্তবায়ন করতে চাই।

আনীর চৌধুরী বলেন, ২০ লক্ষ মানুষ আছে রাজশাহীতে। তাদের দোরগোড়ায় স্মার্ট নাগরিক সেবা পৌঁছে দেয়া আমাদের লক্ষ্য। রাজশাহীকে স্মার্ট শহরে রূপান্তর করার ব্যাপারে আমরা আগ্রহী। স্মার্ট শহর বিনির্মাণে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ডিজাইন ল্যাব’ এবং ‘ইনোভেশন ল্যাব’ একসঙ্গে কাজ করবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আমরা রাজশাহীকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতামূলক স্মার্ট সিটি রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *