সাম্প্রতিক সংবাদ

ভূমি মন্ত্রণালয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অটোমেটিক ভয়েস কল সিস্টেম চালু

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের সব উপজেলা ভূমি অফিসের নামজারি শুনানির তারিখ জানানো হবে ফোনকলের মাধ্যমে। সেইসঙ্গে সেবার গুণগত মান সম্পর্কে সেবাগ্রহীতার মন্তব্য জানতে একটি ফোনকলও করা হবে। এর মাধ্যমে সেবাগ্রহীতা নামজারি বিষয়ক সন্তুষ্টি বা অসন্তোষের কারণ জানাতে পারবেন। কোনো সুনির্দিষ্ট নামজারি মামলার সিদ্ধান্তের বিষয়ে সেবাগ্রহীতার অসন্তোষের কারণটি রোবট ডিজিটাল উপায়ে সংগ্রহ করে শিগগিরই land.gov.bd ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ড প্রদর্শন করবে।

দেশের সরকারি দপ্তরসমূহের মধ্যে প্রথমবারের মত ভূমি মন্ত্রণালয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অটোমেটিক ভয়েস কল সিস্টেম চালু করা হলো। নামজারি সেবা সম্পন্ন হবার পর সেবাগ্রহীতা সেবার মানের বিষয়ে মতামত (ফিডব্যাক) দিতে পারবেন। প্রাপ্ত মতামত নিয়মিত মনিটরিং ও বিশ্লেষণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। নামজারি সেবার গুণগত মান যাচাইয়ের পাশাপাশি দেশের সব উপজেলায় নামজারি শুনানির তারিখ জানাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবটিক কল পৌঁছে যাবে সেবাগ্রহীতার ফোনে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ভূমিসেবাতেও যুক্ত হবে নাগরিক সম্পৃক্ততার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

গতকাল রোববার (৯ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবন মিলনায়তনে ‘দেশব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যম ভূমিসেবার গুণগত মান মূল্যায়ন ও স্মার্ট নামজারি শুনানির নোটিশ প্রদান কার্যক্রম’ এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দীক এবং ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী। সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল বারিকসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে নামজারি শুনানির সময় যেমন জানানো হবে এবং তেমনি তা সম্পন্ন হওয়ার পর সেবা গ্রহীতা সেবার মানের বিষয়েও মতামত দিতে পারবেন। এই কার্যক্রম চালুর মধ্যে দিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তির সাহায্যে ভূমিসেবা প্রদান শুরু করে এক নতুন যুগে প্রবেশ করল ভূমি মন্ত্রণালয়। নামজারি শুনানির তারিখ ফোন করে জানানোর ‘ওয়ান ওয়ে’ ব্যবস্থা আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ‘টু-ওয়ে’ তে উন্নীত করা হবে। ফলে নাগরিকগণ কথোপকথনেও অংশ নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন ও তাঁদের আবেদনকৃত সেবার বিষয়ে পাল্টা প্রশ্ন করতে পারবেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী নাগরিকের কথা বিবেচনা করে এই সেবা সিলেটি, চাটগাঁইয়াসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায়ও দেয়া যায় কিনা তারও সক্ষমতা যাচাই করা হবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *