সাম্প্রতিক সংবাদ

২২-২৮ মে শুরু হচ্ছে ‘ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৩’

ক.বি.ডেস্ক: ‘স্মার্ট ভূমি সেবায় ভূমি মন্ত্রণালয়’ স্লোগানে ২২-২৮ মে সারা দেশে শুরু হচ্ছে ‘‘ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৩’’। এবারের ভূমি সেবা সপ্তাহে ই-নামজারি, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর, ডাকযোগে সার্টিফাইড খতিয়ান ও ম্যাপ এবং ১৬১২২ নম্বরে কল সেন্টারের মাধ্যমে ভূমিসেবা প্রদানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। এ ছাড়াও রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্ত:সংযোগ, স্মার্ট ভূমি নকশা, স্মার্ট ভূমি রেকর্ড ও স্মার্ট ভূমি-পিডিয়াসহ স্মার্ট ভূমিসেবা স্থাপনে মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনার ব্যাপারে সম্যক ধারণা প্রদান করা হবে।

দেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা এবং ৫০৭টি উপজেলা, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ও পৌর ভূমি অফিসে ভূমিসেবা সপ্তাহ কার্যক্রম চলবে। আগামীকাল সোমবার (২২ মে) সারাদেশে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে ভূমিসেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে, স্থানীয় সম্মেলন কক্ষে কিংবা সুবিধাজনক স্থানে ক্যাম্প করে সেবা বুথ স্থাপন করা হবে।

বুথে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রযোজ্য ভূমি সেবা দেয়া হবে, ভূমিসেবা বিষয়ে অবহিত করা ও পরামর্শ সেবা দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করা স্মার্ট ভূমিসেবার মূল অংশীজন হিসেবে দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করা, স্মার্ট ভূমিসেবা বিষয়ে সকলকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অবগত করা ও ভূমি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিজ নাগরিক অধিকারের ব্যাপারের সকলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এ বছরের ভূমি সেবা সপ্তাহের মূল লক্ষ্য।

ভূমিসেবা সপ্তাহকালীন বিশেষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেশকিছু ভূমিসেবা প্রদান করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ প্রতিষ্ঠা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ রোডম্যাপে ৪টি পিলার স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট গভর্নেন্স অন্তর্ভূক্ত করে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা চারটি স্মার্ট ভূমিসেবা- রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ, স্মার্ট ভূমি নকশা, স্মার্ট ভূমি রেকর্ড ও স্মার্ট ভূমি-পিডিয়া ছাড়াও বেশকিছু ভূমিসেবা ব্যবস্থা স্মার্ট ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিজিটালাইজকৃত ভূমিসেবা সমূহও স্মার্ট করে ব্যবহারের সহায়ক ও সহজ করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে ই-নামজারির দ্বিতীয় ভার্সন স্থাপনের কাজ এবং বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভেতে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহারও রয়েছে। সম্পদের দক্ষ ব্যবহার করে তথ্য চালিত উন্নত নাগরিকসেবা প্রদান এবং নাগরিক সেবা গ্রহণের অভিজ্ঞতা আরও বেশি সহজ করতে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম ডিজাইনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লককচেইন, ক্লাউড কম্পিউটিং, ড্রোন এবং ইউএভি, রিমোট সেন্সিং, মেশিন ভিশন, বায়োমেট্রিক্সসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এর ইউজার ইন্টারফেস হচ্ছে ‘স্মার্ট ভূমিসেবা প্ল্যাটফর্ম’ ওয়েব পোর্টাল এবং সংশ্লিষ্ট মোবাইল অ্যাপ।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *