অন্যান্য মতামত সাম্প্রতিক সংবাদ

ইন্টারনেট এখনই শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো অতি প্রয়োজনীয়: মোস্তাফা জব্বার

ক.বি.ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইন্টারনেট হচ্ছে ডিজিটাল সভ্যতার বাহন। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে ইন্টারনেট এখনই শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো অতি প্রয়োজনীয়। বাংলাদেশের লাখ লাখ তরুণ তরুণী ইন্টারনেটের বদৌলতে সফল উদ্যোক্তা হয়েছে। ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড় তৈরি করতে না পারলে এর দায় আমরা এড়াতে পারবো। সময়ের চাহিদা পুরণে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ণমেন্ট ফোরাম (বিআইজিএফ) এর যৌথ উদ্যোগে ‘‘টেলিকম টেক্স পলিসি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম’’ শীর্ষক আয়োজিত সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

কলড্রপের জন্য গ্রাহকদের ক্ষতিপুরণ না দেয়া গ্রহণ যোগ্য নয় এবং ব্যবসার নীতির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ্ হতে পারে না

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, অ্যামটব সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ, রবির সিইও রিয়াজ রশীদ, এরিকসনের কান্ট্রি ম্যানেজার আবদুল সালাম, গ্রামীণফোনের ভারপ্রাপ্ত চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হোসেন সাদাত এবং বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান প্রমূখ বক্তৃতা করেন। সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও  বিআইজিএফ সভাপতি ও হাসানুল হক ইনু।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে ইন্টারনেটের অবদান অপরিসীম। উতপাদন প্রক্রিয়াসহ শিল্প-বাণিজ্যে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এখন বিনিয়োগের আগে জানতে চায় ফাইভ-জি সংযোগ আছে কীনা। ইন্টারনেটের বিষয়ে রাজস্বের দিকে তাকালেই হবে না, সভ্যতার অগ্রগতির দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে সবার আগে। কলড্রপের জন্য গ্রাহকদের ক্ষতিপুরণ না দেয়া গ্রহণ যোগ্য নয় এবং ব্যবসার নীতির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ্ হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, মোবাইল অপারেটরসহ টেলকো সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে গ্রাহকদের মনের কথা বুঝতে চেষ্টা করা উচিত। মোবাইল ডেটার প্যাকেজ পদ্ধতির সমালোচনা করে বলেন, আমার কেনা ডেটা আমি ব্যবহার করবো, যখন খুশি, যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ করবো। ডেটা লিমিট প্রত্যাহার করায় টেলিটকের ভূমিকা ফলপ্রসূ অবদান রাখছে এবং অন্য অপারেটরসমূহকে গ্রাহক স্বার্থ নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

হাসানুল হক ইনু বলেন, টেলকো সেক্টরকে ঘিরে এককোটি মানুষ কর্মরত আছে তিনি ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেবার দাবি জানান। ডিজিটাল ইকোনোমির জন্য স্মার্ট ফোন সহজলভ্য এবং মোবাইল সেবার গুণগত মান নিশ্চিত করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা এবং টেলকোখাতের ট্যাক্স যৌক্তিক মাত্রায় নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

শ্যাম সুন্দর সিকদার টেলকোখাতের বিকাশে প্রণীত বিভিন্ন নীতিমালা তুলে ধরেন। তিনি বলেন বিটিআরসি নীতিমালা প্রণয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে। বিটিআরসি কেবল নিয়ন্ত্রণ করেনা বরং সহায়কের ভূমিকা পালন করে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *