সাম্প্রতিক সংবাদ

ডিআইইউ’তে “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য কর্মশক্তির ক্ষমতায়ন” শীর্ষক সামিট অনুষ্ঠিত

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় দক্ষ ভবিষ্যৎ-প্রস্তুত কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ও এটুআই’র সহযোগিতায় “চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য কর্মশক্তির ক্ষমতায়ন (৪আইআর): বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের জন্য একটি কেস স্টাডি” শীর্ষক দিনব্যাপী এক সামিট আয়েজন করা হয়।

আজ বুধবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত এ সামিটের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ডিআইইউ’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়াারম্যান ড. মো. সবুর খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিআইইউ’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান, এটুআই’র প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির।

বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির গ্রুপ সিইও মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, ডিআইইউ’র বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. ফখরে হোসেন, স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান ও ক্যারিয়াার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিডিসি) এর পরিচালক ড. তানভীর ফিত্তির আমির।

দিনব্যাপী সামিটে “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া বাংরাদেশের জন্য একটি ভবিষ্যৎ –প্রস্তুত কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশে আইসিটি, বস্ত্র, কৃষি ও আরএমজি চাকরির পরিবর্তিত ল্যান্ডস্কেপ নেভিগেট করার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চারটি সেশন পরিচালিত হয়। এই সেশনগুলিতে আইসিটি এবং ব্যবসায়িক পেশাদারদের জন্য দক্ষতা বিকাশে সর্বশেষ প্রবণতা এবং সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো অন্বেষণ করতে, সেইসঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা এবং কৃষি খাত এবং টেক্সটাইল এবং আরএমজি সেক্টরে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে দক্ষতা বিকাশের উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলি অন্বেষণ করতে শিল্প এবং একাডেমিয়ার নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সম্মিলন ঘটেছে।

মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশর সবচেয়ে বড় শক্তিই হচ্ছে মানব সম্পদ। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে স্মার্ট মানুষের দরকার। আমাদের তরুণ প্রজন্ম এবং শিক্ষার্থীরাই আমাদের সেই সোনার মানুষ যাদের বাদ দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ হতো না বা আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশও গড়ে তোলা সম্ভব নয়। সোনার বাংলার সেই কারিগরদেরকে যোগ্য করে গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের জন্য যেরুপ অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার তা ইতিমধ্যে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশ ৯৮% অঞ্চল ৪জি’র আওতায় আনা হয়ছে। ২০২১ সালে বাংলাদশে ৫জি চালু করো হয়েছে। দেশের সমস্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো ৫জি’র আওতায় আনা হয়েছে। কমপিউটার বিজ্ঞানী হয়ে এ পৃথিবীতে বাঁচতে হবে এমন কোন কথা নেই ইউজার থেকেই একসময় বিজ্ঞানী হওয়ার সুযোগ তৈরী হবে। নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতায় দক্ষ করে তুলতে পারলেই চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা পঞ্চম শিল্পবিপ্লব কোনটাতেই সে আটকাবেনা বা থমকে দাড়াবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ড. মো. সবুর খান বলেন, সমস্ত প্রযুক্তি এবং রিসোর্সই এখন আমাদের হাতের মুঠোয়, শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রযুক্তিগুলোকে সমন্বিত করে একটা সুন্দর প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা। শিক্ষার্থীদের ইজার না হয়ে লিডার বা উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানান। আর লিডার হওয়া তখনই সম্ভব হবে যখন শিক্ষার্থীরা এভেইলেবল রিসোার্সগুলোকে ব্যবহার করে একটা চমৎকার সলিউশন তৈরী করতে পারবে। তিনি ডাটা ও রিসোর্সের যথাযথ ব্যবহার করে ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করার আহবান জানান।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *