সাম্প্রতিক সংবাদ

জাতীয় পরিচয়পত্রে ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হবে

ক.বি.ডেস্ক: জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) যাদের চার আঙ্গুলের ছাপ দেয়া আছে, তাদের ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হবে। এ লক্ষ্যে আগামী বছর একটি কর্মসূচি নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে ইতোমধ্যে যারা ১০ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন তাদের আঙ্গুলের ছাপ দেয়া লাগবে নাউ। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ১০ আঙ্গুলের ছাপ লাগবে বলে জানিয়েছে ইসি। জানুয়ারিতে নতুন করে আঙুলের ছাপ নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে ইসি।

গতকাল শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ঢাকা অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর এসব তথ্য জানান। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইটিআই মহাপরিচালক আব্দুল বাতেন, যুগ্ম সচিব শাহেদুন্নবী চৌধুরী, ইটিআইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ ঢাকা অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ। সভাপতিত্ব করেন ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ। এদের মধ্যে স্মার্টকার্ড পেয়েছেন ৬ কোটির মতো নাগরিক। স্মার্টকার্ড নেয়ার সময়ে তাদের ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেয়া হয়েছে। বাকি প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি নাগরিককে দিতে হবে দশ আঙ্গুলের ছাপ।

এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা যেহেতু আগামী ভোট (জাতীয় নির্বাচন) আরও সুন্দর করতে চাই, এ কারণে আমরা ফিঙ্গার প্রিন্ট কিন্তু আপডেট করব। যারা স্মার্টকার্ড নিয়েছেন, তারা দশ আঙ্গুলের ছাপ দিয়েছেন। যারা দশ আঙ্গুলের ছাপ দেননি, আগামী জানুয়ারি থেকে আমরা দশ আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার চেষ্টা করছি। আমরা কমিশনের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করছি। বিধান মোতাবেক ১৫ বছর পর ভোটারদের বায়োমেট্রিক আপডেট করতে হবে। তাই আগামী বছরে আমাদের এ কর্মসূচি হাতে নেয়া প্রয়োজন। আমরা এবার ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত নাগরিকদের তথ্য-উপাত্ত নিচ্ছি। সামনে আরও কম বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান তিনি। 

আগামী বছর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কিংবা এর পরের বছর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দেশে দ্বাদশ জাগীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। প্রায় অর্ধেক আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়নের অংশ হিসেবে সংস্থাটি একজন ভোটারের দুই হাতের সব আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *