উদ্যোগ

‘নতুন প্রজন্মই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ’ প্রকল্প চালু করেছে ভিভো

ক.বি.ডেস্ক: এসওএস শিশু পল্লী বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে তিন বছরব্যাপী করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) প্রকল্প ‘নতুন প্রজন্মই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ’ চালু করেছে ভিভো। এই প্রকল্পের আওতায় উপকরণ ও নগদ অর্থের মাধ্যেম ৮০ লাখ টাকা অনুদান দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ভিভোর। ইমেজিং প্রযুক্তির সাহায্যে শিশুদের জন্য নতুন দিগন্ত প্রসারিত করা এবং তাদের কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করাই এই ‘নতুন প্রজন্মই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ’ প্রকল্পের লক্ষ্য।

এই প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে ৬টি এসওএস শিশু পল্লীতে ১৪৪টি পাবলিক ইমেজিং ক্লাসের সুবিধা থাকছে, যা বাংলাদেশের শিশুদের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়তা করবে। এ ছাড়া, প্রতি বছর নির্দিষ্ট ইমেজিং জার্নি’র আয়োজন করা হবে, যেখানে ভিভোর মেন্টররা সর্বাধুনিক ইমেজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিশুদের ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি শেখাবেন।

গত শনিবার (২ মার্চ) মিরপুর রোডের শ্যামলীতে অবস্থিত এসওএস শিশু পল্লী ঢাকায় এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চীনা দূতাবাসের কালচার কাউন্সিলর ইউ লিওয়েন, চাইনিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ এর আইসিটি ব্রাঞ্চ এক্সিকিউটিভ ইউ ইং, সিটিও ফোরামের প্রেসিডেন্ট তপন কান্তি সরকার, ভিভো বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর লি কিংইয়াং, ফ্যাক্টরি ম্যানেজিং ডিরেক্টর চেং শেংগুই, এসওএস শিশু পল্লী বাংলাদেশের ড. এনামুল হক এবং প্রকল্পের মেন্টর ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রধান খন্দকার তানভীর মুরাদ।

ইউ লিওয়েন বলেন, “কেবল জাতির স্তম্ভ হিসেবেই এই শিশুরা গড়ে উঠবে না, বরং জ্ঞান অর্জন ও অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদেরকে বিকশিত করে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে একযোগে কাজ করবে।”

বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিশুদের বিকাশের পথে বাধাগুলোকে চিহ্নিত করার মাধ্যমে ভিভো শিক্ষালাভের জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্সের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায়। এ লক্ষ্যে এসওএস শিশু পল্লী বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রকল্প নিয়ে এসেছে ভিভো। আগামী তিন বছরে ভিভো এসওএস শিশু পল্লী বাংলাদেশে ইমেজিং কোর্সের শিক্ষাসামগ্রী হিসেবে ৬০টি স্মার্টফোন দিবে। সর্বমোট অনুদান ৮০ লাখ টাকার বাকিটা নগদ অর্থে দেয়া হবে।

ইমেজিং জার্নি’র শেষে ভিভো শিশুদের তোলা ছবিগুলো সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে রাখবে। পরবর্তীতে এসব ছবি দিয়ে একটি পাবলিক সার্ভিস অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিও তৈরি করে তা প্রকাশ করা হবে। একইসঙ্গে, তাদের তোলা ছবিগুলো ‘নতুন প্রজন্মই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনীতে দেখানো হবে। শিশুদের স্বপ্ন ও সৃজনশীলতা তুলে ধরতে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে এই প্রকল্প।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *