সাম্প্রতিক সংবাদ

ডেটা বিক্রি করে, প্রসেস করে যেন কেউ ব্যবস্যা করতে না পারে: প্রতিমন্ত্রী পলক

ক.বি.ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের অজান্তে আমাদের ডেটা বিক্রি করে, প্রসেস করে যেন কেউ ব্যবস্যা করতে না পারে সেজন্য ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে। আমাদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য, সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য, ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদির তথ্য যেন কারও সম্মতি ছাড়া দেশের বাইরে, ব্যবস্যায়িক কাজে অথবা সংগঠনের কাজে ব্যবহৃত না হয় সেজন্য দেশের তথ্য দেশে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত দেশের প্রথম সার্টিফায়েড টিয়ার ফোর কমার্শিয়াল কো-লোকেশন ডাটা সেন্টার ‘সাইফার’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাকজেনটেক আনুষ্ঠানিকভাবে সাইফার এর যাত্রার ঘোষণা দিয়েছে।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ্উ। উপস্থিত ছিলেন রবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব শেঠি, অ্যাকজেনটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদিল হোসেন নোবেল, রবি’র চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলমসহ যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘‘সরকারি অধিকাংশ সেবা এখন একটি পোর্টালে পাওয়া যাচ্ছে, সেবাগুলো পৌঁছে গেছে মানুষের হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তির বিকাশ ও ব্যবহারে আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, অর্থনীতিসহ সর্বত্রই এখন ডিজিটাল সেবা পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিমুহুর্তে আমরা মূল্যবান ডেটা সরবরাহ করছি। আমরা যদি এই ডেটার নিরাপত্তা, মজুদ, লোকালাইজেশন ও প্রসেস করতে পারি, তাহলে ডেটা ড্রিভেন ও ডিসিশন মেকিং স্মার্ট সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা সহজ হবে; বেসরকারিখাতে ব্যবসার আরও অনেক সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি আমাদের দেশের ও নাগরিকদের ডেটা আমাদের অনুমতি ব্যতীত আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না, আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।’’

অ্যাকজেনটেকের এই সাইফার দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের প্রিমিয়ার ডাটা সেন্টার হিসেবে সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্যতা, নিরাপত্তা ও কার্যকর আস্থার নিশ্চয়তা দেয় সাইফার, ডিজিটাল ক্ষেত্রে যা বেশ গুরুত্বপূর্ন।

যশোরে ১৬ হাজার ৫০০ বর্গফুটের সাইফার এর ভবনটিতে আছে পাওয়ার ব্যাকআপ, এডভান্সড কুলিং মেশিনারিসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সাইফার কাজ করে যাওয়ার সক্ষমতা রাখে। ডিজিটাল অবকাঠামোর মান নিরূপণে বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত সংস্থা আপটাইম ইনস্টিটিউট এর কাছ থেকে সম্মানজনক টিয়ার ফোর সনদ অর্জন করেছে সাইফার। সাইবার হুমকিসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *