অন্যান্য টিপস

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস কেনার আগে জেনে নিন

বিভিন্ন ফিচার নিয়ে নতুন সব অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস বাজারে আসছে। প্রতিদিনের সঙ্গী হিসেবে কেমন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস আপনার পছন্দ? নিশ্চয়ই আকর্ষণীয় ডিজাইন, রুচিশীল রঙের সমাহার আর দারুণ পারফরমেন্স এমন ডিভাইসই চান! আজকের এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস হয়ে ওঠেছে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অধিকাংশ ফিচার গ্রাহক বা ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করে। স্মার্টফোন থেকে সব ধরনের সুবিধা পাওয়ার জন্য এর ফিচারগুলোর ওপর জানা প্রয়োজন।

প্রসেসর নতুন না পুরনো: স্মার্টফোন কেনার সময় প্রসেসর নতুন না পুরনো সে বিষয়টি অনেকেই এড়িয়ে যান। পুরনো প্রজন্মের হাই-এন্ড প্রসেসরের তুলনায় নতুন প্রজন্মের মিড রেঞ্জে যেগুলো থাকে সেগুলো ব্যবহার করা ভালো। কেননা দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার ও মাল্টিটাস্কিংয়ে সক্ষমতার দিক থেকে নতুন প্রসেসর এগিয়ে থাকে।

র‍্যাম ও স্টোরেজ: শুধু প্রসেসর শক্তিশালী হলেই যে স্মার্টফোন ভালোভাবে চলবে তা নয়। এক্ষেত্রে র‍্যাম ও ইন্টারনাল স্টোরেজও গুরুত্বপূর্ণ। ৮ জিবি এলপিডিডিআরফাইভ বা ফাইভএক্স র‍্যামের সঙ্গে ইউএফএস ৩ বা ৪ ভার্সনের ১২৮ জিবি স্টোরেজ থাকলে স্মার্টফোন বেশ ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়। বেশি স্টোরেজ থাকলেই যে ডিভাইস ভালো কাজ করবে বিষয়টি তাও নয়।

ডিসপ্লে সুরক্ষা: অ্যামোলেড, ফুল এইচডিপ্লাস রেজল্যুশন, বেশি রিফ্রেশ রেট ভালো ডিসপ্লের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তবে স্ক্র্যাচ বা দাগ থেকে সুরক্ষায় কী ব্যবস্থা রয়েছে সেটি অনেক সময় আড়ালে থেকে যায়। এদিক থেকে বর্তমানে বিভিন্ন স্মার্টফোনে গরিলা গ্লাস ভিকটাস দেয়া হয়, যা যেকোনো ধরনের দাগ থেকে ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখে ও টেকসই করে তোলে।

চার্জার আছে কিনা দেখা: স্মার্টফোনে বিভিন্ন ফিচার ও উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত করলেও উৎপাদনকারীরা বক্স থেকে চার্জার সরিয়ে নিচ্ছে, যা একজন সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য কষ্টকর। ফাস্ট চার্জিং সুবিধাযুক্ত ডিভাইসের সঙ্গে চার্জার না থাকলে সেটি অসুবিধাই বেশি তৈরি করে। তাই ডিভাইসের সঙ্গে চার্জার দেয়ার বিষয়টি দেখতে হবে।

ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি: মিড রেঞ্জ বা কম দামের স্মার্টফোনে এ ফিচার দেয়া সম্ভব না হলেও ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসে এটি আছে কিনা দেখতে হবে। এর মাধ্যমে যেকোনো পরিস্থিতিতে ডিভাইস চার্জ দেয়া সুবিধাজনক। এর সর্বোচ্চ সক্ষমতা ১৫ ওয়াট, যা ব্যাটারির ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।

ক্যামেরার ফোকাস: মেগাপিক্সেলের ভিড়ে স্মার্টফোন ক্যামেরায় ফোকাস সিস্টেম কেমন সেটিও দেখা প্রয়োজন। একাধিক ক্যামেরার মধ্যে টেলিফটো লেন্স সিস্টেম থাকা গুরত্বপূর্ণ। ভালো অ্যাপারচারযুক্ত টেলিফটো লেন্স, পাঁচ গুণ পর্যন্ত জুম করার সক্ষমতা স্মার্টফোন ক্যামেরাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

স্টেরিও স্পিকার: ভালো সাউন্ড কোয়ালিটিসহ স্টেরিও স্পিকার ছাড়া স্মার্টফোন কেনা উচিত নয়। ভালো সাউন্ড কোয়ালিটি না থাকলে সেই স্মার্টফোন গ্রাহক আকৃষ্ট করতে পারবে না। তাই সেলফোন নির্বাচনের আগে স্পিকার আছে কিনা সেটি দেখতে হবে।

আইপি ৬৭/৬৮ রেটিং: ধুলোবালি, পানির ঝাপটা ও ঘাম থেকে সেলফোনকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আইপি৬৭ বা ৬৮ রেটিং গুরুত্বপূর্ণ। অসাবধানতাবশত ডিভাইস হাত থেকে পড়ে যাওয়া, পানি ছিটে আসা থেকে সুরক্ষিত থাকাও গ্রাহক চাহিদার মধ্যে অন্যতম।

উল্লিখিত বিষয়গুলো ছাড়াও দিনে ও রাতে ডিসপ্লের সঠিক উজ্জ্বলতা, ডিসপ্লের আকার, রিফ্রেশ রেট, এসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা, হেডফোন জ্যাক আছে কিনা এসব বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *