সাম্প্রতিক সংবাদ

দেশে ই-স্পোর্টসের উজ্বল সম্ভাবনা রয়েছে

ক.বি.ডেস্ক: ২০১৯ সাল থেকে দেশে ই-স্পোর্টসের প্রসার বাড়ছে। তবে এটি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। আধুনিক প্রতিযোগিতার মধ্যে মোবাইল গেমিং এবং ক্রিকেটের মধ্যে ই-স্পোর্টসের প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে, যা একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যিকভাবে বেশি প্রচলিত। বিভিন্ন ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট এবং লীগে বাংলাদেশী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। বর্তমানে ই-স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সরাসরি ও পারিপার্শ্বিকভাবে ২৫টি অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি জড়িত আছে যা ভবিষ্যতে আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। বর্তমানে ১৮টি দেশে ই-স্পোর্টস সরকারী মন্ত্রণালয় ও ফেডারেশনের আওতাধীন আছে।

গতকাল শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এমএলটি ফাউন্ডেশন এর চীফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) অনিক মৃধা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আয়োজক সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আবির বিন সাফি, সহ সভাপতি এটিএম মুশফিক মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ মো. সাদ্দাম হোসেন ও নির্বাহী সদস্য সৈয়দ এহরাজ আলি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত চার বছরে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে সর্বমোট ৩৮টি ই-স্পোর্টস কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে কোভিড ১৯ এর সময় বাংলাদেশীয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম উন্নত হয়েছে। এসময় ৪০ জন স্ট্রীমারের বার্ষিক আয় ছিলো (আনুমানিক) ১২ কোটি টাকা।

প্রশাসনিক, প্রতিষ্ঠানিক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ই-স্পোর্টসের ব্যাপারে ধারনা একেবারেই নাজুক। তারপরেও বাংলাদেশে যেভাবে ই-স্পোর্টস এগিয়ে যাচ্ছে তাতে পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশে আরও সম্প্রসারণ সহজেই ঘটানো সম্ভব, যেটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে। গেমার সংখ্যা এবং অবসরের সময়ে ই-স্পোর্টস প্রচুর জনপ্রিয় হতে পারে। বেশি গেমার স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রতিযোগিতা করতে পারে।

ই-স্পোর্টস বিশেষজ্ঞ টুর্নামেন্ট এবং ইভেন্টের প্রচারে বৃদ্ধি পেতে পারে, যা বাংলাদেশের ক্রীড়া প্রশাসন ও নৈতিক সমর্থনের মাধ্যমে সম্ভব। দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা, বেকারত্ব দুরীকরণ, সংগীত, ইলেক্ট্রনিক্স, বিদেশী বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ই-স্পোর্টস প্রতিষ্ঠান এবং টিম প্রচুর উন্নতি পেতে পারে, যেটি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য ক্যারিয়ার সৃষ্টির দিকে নতুন সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।

অনিক মৃধা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে শুধুমাত্র ক্রিকেট এবং ফুটবলকে প্রাধান্য দেয়া হয়, কিন্তু এই দেশে ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৫ কোটি তরুণ। এমএলটি ফাউন্ডেশন চায় এমএলটি স্পোর্টস এর মাধ্যমে বক্সিং সাইক্লিস্ট, বাস্কেটবল, সুটিং ও অলিম্পিক অ্যাসোশিয়েশনের আওতাধীন যে খেলা সমুহ আছে সেই খেলায় অন্তত ৫ জন খেলোয়ার বা অন্তত ১টি দল এমএলটি স্পোর্টস এর অন্তর্গত হয়ে নিজেদের উন্নতি করুক। এ প্রেক্ষিতে যা সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন হবে তা এমএলটি স্পোর্টস প্রদান করবে, যেন ক্রিকেট ফুটবল ছাড়াও অন্যান্য খেলাধুলা দিয়ে বাংলাদেশের নাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পারি।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *