সাম্প্রতিক সংবাদ

বলে ফোরজি, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে টুজি সেবাও পাওয়া যায় না

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এর দশম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে ‘টেলিযোগাযোগ, প্রযুক্তি সেবা ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ভোক্তার অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, টেলিভিশনের পত্র-পত্রিকা বিজ্ঞাপনে দেখা যায়- সারাদেশে যেখানে যাবেন সেখানেই ফোরজি নেটওয়ার্ক, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে টুজি সেবাও পাওয়া যায় না। কখন মূল্য বৃদ্ধি হলো, কিভাবে হলো তার কোন হদিস নেই। ইন্টারনেট প্যাকেজে চলছে তেলেসমাতি।

গতকাল শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পাশে স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. সৈয়দ মারগুব মোরশেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সদস্য ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

বক্তব্য রাখেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, আকাশ পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল ইসলাম, জাতীয় তরুণ সংঘের চেয়ারম্যান ফজলুল হক, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহেদা বেগম, লায়ন সাব্বির রহমান। সঞ্চালনা করেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান শাশ্বত মনির।

ড. সৈয়দ মারগুব মোর্শেদ বলেন, গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন যেভাবে দীর্ঘ সময় কাজ করে যাচ্ছে; এর সঙ্গে সরকারি বেসরকারি এবং নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসলে গ্রাহকের অধিকার রক্ষায় আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবে। সংগঠনটিকে সবসময় বিটিআরসিকে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেন তিনি।

এ কে এম শফিকুল ইসলাম বলেন, টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ ঘটেছে। প্রযুক্তির পরিবর্তনও হচ্ছে। সেই ধারায় টেলিভিশনের পত্র-পত্রিকা বিজ্ঞাপনে দেখা যায়- সারাদেশে যেখানে যাবেন সেখানেই ফোরজি নেটওয়ার্ক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে টুজি সেবাও পাওয়া যায় না। গ্রামীণফোনের হঠাৎ করে ১৭ টাকার মেসেজ প্যাকেজ দাম বেরে হয়ে গেল ৭০ টাকা। এসব দেখার যেন কেউ নেই। কখন মূল্য বৃদ্ধি হলো, কিভাবে হলো তার কোন হদিস নেই। ইন্টারনেট প্যাকেজে চলছে তেলেসমাতি। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে যখন আমরা হিমশিম খাচ্ছি, তখন অনেক বড় বড় সিন্ডিকেট কিন্তু প্রযুক্তি সেবাতেও দেখেছি। রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক বিকশিত হচ্ছে না কেন সেটিও দেখার বিষয়। একটি অপারেটরের মামলার কারণে আমরা ভোক্তাদের এ সেবার সমস্যার সমাধান করতে পারছি না।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিগত ৯টি বছর যাবত গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এই সেক্টরে প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে প্রতারণা এবং অনিয়ম বৃদ্ধি পেয়েছে, সেভাবে গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা করার জন্য কমিশন বা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর সেভাবে ভূমিকা পালন করেনি। আগামী দিনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এবং বিটিআরসি’কে গ্রাহক সমস্যা সমাধান এবং অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *