উদ্যোগ

যশোরে উদযাপিত হল খুলনা বিভাগের ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩’

ক.বি.ডেস্ক: যশোরে অবস্থিত শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিভাগীয় বিপিও সামিট ২০২৩ (খুলনা বিভাগ)’। বিপিও শিল্পের সম্প্রসারণ, দক্ষ জনশক্তি উন্নয়ন, বিভাগীয় পর্যায়ের বিপিও শিল্পের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নানান দিক, তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্ভাবনা ও সমস্যা সমাধানে করণীয়, তরুণ প্রজন্মের মাঝে সচেতনতা তৈরি, চাকরি মেলা আয়োজন, নীতিসংক্রান্ত সম্ভাব্য পরিমার্জনের প্রস্তাবনা ও আবশ্যিকতা নিয়ে বিশদ আলোচনার উদ্দেশ্যে মে-জুলাই মাসব্যাপী দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে বাংলাদেশের বিপিও শিল্পের সর্ববৃহৎ, শীর্ষ সম্মেলন “বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩”।

গতকাল (১৭ জুন) অনুষ্ঠিত ‘বিভাগীয় বিপিও সামিট ২০২৩ (খুলনা বিভাগ)’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর -২ সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোছা. খালেদা খাতুন রেখা। বক্তব্য রাখেন বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইসিটি অধিদপ্তর’র উপসচিব মো. মিজানুর রহমান, চালডাল লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জিয়া আশরাফ, টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ’র সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন হক জুনায়েদ, বাক্কো’র পরিচালক কাওসার আহমেদ এবং আয়েশা সার্ভিসেস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জায়েদ উদ্দিন আহমেদ।

অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন এবং তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ ঘোষণা করেছেন। সরকার তথ্যপ্রযুক্তিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালে আমরা উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হব।

মোছা. খালেদা খাতুন রেখা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে যশোর জেলার তরুণ তরুণীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও তাদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্বজনিত সমস্যা লাঘবে সবরকমের সহায়তা করতে প্রস্তুত যশোর জেলা প্রশাসন। যশোরে তথ্যপ্রযুক্তিসম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোকেও উক্ত শিল্পখাতে বিকশিত হতে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি আমরা দিচ্ছি।

ওয়াহিদ শরীফ বলেন, বিপিও শিল্পে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং আমাদের অভিলক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে ১ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন করা। এই লক্ষমাত্রা অর্জনে সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি প্রয়োজন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করা এবং শুধু ঢাকাকে কেন্দ্র করে নয় বরং সমগ্র দেশেই এই শিল্পের ব্যাপ্তি ঘটাতে হবে, তাই প্রয়োজন বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি পলিসিগত দিক থেকে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা।

অনুষ্ঠানে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশন, সিভি সংগ্রহ এবং চাকুরি মেলা একইসঙ্গে চলতে থাকে সন্ধ্যে পর্যন্ত। দেশের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক নামকরা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী মেধাবী শিক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ নেয়া হয় এ চাকরি মেলায়। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হল- ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেড, মাই আউটসোর্সিং লিমিটেড, সার্ভিস ইঞ্জিন বিপিও, আয়েশা সার্ভিসেস লিমিটেড এবং চালডাল লিমিটেড।

এর আগে (১৭ জুন) সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সম্ভাবনাময় কর্মক্ষেত্রের নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় বিপিও সামিটের ক্যারিয়ার ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে। সেমিনারে বিপিও শিল্পের সম্ভাবনাময় দিকগুলো শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে এ খাতে আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে উৎসাহ যুগিয়ে বক্তব্য রাখেন বাক্কো’র লোকাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট উপকমিটি চেয়ারম্যান মৃধা মো. মাহফুজ-উল-হক চয়ন, সার্ভিস ইঞ্জিন বিপিও’র ম্যানেজার মোহাম্মদ মাহমুদুর রশীদ এবং বাক্কো’র কার্যনির্বাহী সমন্বয়ক মো. সেলিম সরকার।

বাক্কো’র উদ্যোগে এবং আইসিটি অধিদপ্তর ও বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল’র সার্বিক সহযোগিতায় দেশব্যাপী চলছে “বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩”।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *