পণ্য সম্পর্কে

রেফ্রিজারেটরে যুক্ত হলো স্পেসম্যাক্স প্রযুক্তি!

ক.বি.ডেস্ক: বর্তমানে রেফ্রিজারেটর হয়ে উঠেছে গৃহস্থালির জন্য অতি প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লায়েন্স। সাধারণত বাজারের অনেক রকম ব্র্যান্ড থেকে রঙ, স্টাইল, স্মার্ট ফিচার ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে ক্রেতারা তাদের প্রয়োজন মিটবে এমন রেফ্রিজারেটর বেছে নেন। তবে যেসব পরিবারে মানুষের সংখ্যা বেশি তারা রেফ্রিজারেটরের সমস্ত ফিচারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করেন এর ভেতরের স্পেসের ওপর। প্রায়ই দেখা যায় যে, বাইরে থেকে রেফ্রিজারেটরের ভেতরে যতটুকু স্পেস থাকবে বলে মনে করা হয়, তা থাকে না। এ কারণে অনেক সময় রেফ্রিজারেটরের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে, কখনও নষ্ট হয় বেঁচে যাওয়া খাবার।

এই ভোগান্তি থেকে সমাধানের জন্য ভেতরে অনেক স্পেসসহ রেফ্রিজারেটর বাজারে নিয়ে এসেছে অনেক ব্র্যান্ড। এর মধ্যে স্যামসাংয়ের সাইড-বাই-সাইড রেফ্রিজারেটরটি ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে, এসব রেফ্রিজারেটরে মধ্যে আরএস৭২ মডেলের রেফ্রিজারেটরে ব্যবহার করা হয়েছে স্পেসম্যাক্স প্রযুক্তি, যেন বেঁচে যাওয়া খাবার আর ভবিষ্যতের স্টক সংরক্ষণ করার জন্য বাড়তি স্পেস নিশ্চিত করা যায়। স্পেসম্যাক্স প্রযুক্তির দুই-দরজার এই রেফ্রিজারেটরের দেয়ালে ব্যবহার করা হয়েছে উচ্চ-সক্ষমতার ইনসুলেশন; যা রেফ্রিজারেটরের দেয়ালকে করে পাতলা। যা এই অ্যাপ্লায়েন্সের বাইরের আকারে কোনো পরিবর্তন না এনেও ভেতরে অনেক বেশি স্পেস নিশ্চিত করে, পাশাপাশি এটির জ্বালানি-সাশ্রয় হওয়াও নিশ্চিত করে।

তার ওপর এই রেফ্রিজারেটরে ব্যবহার করা হয়েছে ঝকঝকে ও নিখুঁত কাউন্টার-ডেপথ ডিজাইন; যা বাকি অ্যাপ্লায়েন্সগুলোর সঙ্গে একেবারে মানিয়ে নিয়ে রান্নাঘরের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করবে। রেফ্রিজারেটরে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভেতরের দিকে ঢুকে গেছে এমন হাতল সহ ফ্ল্যাট দরজা, যা অ্যাপ্লায়েন্সটির বাহ্যিক রূপকে করে তোলে আরও পরিচ্ছন্ন। ভেতরের সুবিশাল ভেজ-বক্স একটি পরিবারের সব ফল-সবজি রাখার জন্য যথেষ্ট হবে। এর ভেতরের অনেক বেশি স্পেসের কারণে এখন আর খাবার গুছিয়ে রাখতে অসুবিধা হবে না, আবার কোনো অতিরিক্ত খাবার বাইরেও রাখতে হবে না। অত্যাধুনিক এই অ্যাপ্লায়েন্সটি ব্যবহার করে রান্নাঘর হয়ে উঠবে আগের চেয়ে অনেক বেশি গোছানো।

রেফ্রিজারেটরের ভেতরে সবদিকের খাবারের সতেজতা নিশ্চিত করতে, সবদিকে সমানভাবে খাবার ঠান্ডা করতে, এর ভেতরে ব্যবহার করা হয়েছে অল-অ্যারাউন্ড কুলিং প্রযুক্তি। তার ওপর এর ডিজিটাল ইনভার্টার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ-সাশ্রয় করবে। সাথে থাকছে ২১ বছর পর্যন্ত ডুর‍্যাবিলিটি সার্টিফিকেশন। রেফ্রিজারেটরটির ডিওডোরাইজিং ফিল্টারের কারণে এর ভেতরে রাখা খাবারের আসল গন্ধ দীর্ঘদিন পর্যন্ত অটুট থাকবে। এছাড়াও, এর পাওয়ার কুল ও পাওয়ার ফ্রিজ ফিচারের কারেণে এখন মাত্র একটি বাটন প্রেস করলেই শুরু হবে ইনস্ট্যান্ট কুলিং ও ফ্রিজিং।

এই পুরো অভিজ্ঞতাকে আরও বেশি আনন্দদায়ক করতে স্যামসাং এখন দিচ্ছে বিশেষ অর্থছাড়ের সুযোগ। স্যামসাং আরএস৭২ সাইড-বাই-সাইড রেফ্রিজারেটরটি ব্ল্যাক কালারে কেনার ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা ছাড় পাবেন গ্রাহকরা, যেটির বর্তমান মূল্য ১,৬৩৯০০ টাকা এবং সিলভার কালারে কেনার ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা ছাড়ের সুযোগ রয়েছে যার মূল্য ১,৬৫৯০০ টাকা। তার ওপর ক্রেতারা উপভোগ করতে পারবেন রেফ্রিজারেটরের এক্সচেঞ্জ বেনেফিট অফার। অর্থাৎ, পুরনো রেফ্রিজারেটর দিয়ে নতুন এই রেফ্রিজারেটরগুলো এক্সচেঞ্জ করা যাবে, যাতে ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পাবেন গ্রাহকরা।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *