আনুষাঙ্গিক মোবাইল সাম্প্রতিক সংবাদ

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশে শীর্ষ স্মার্টফোন রিয়েলমি

ক.বি.ডেস্ক: বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের সমীক্ষা অনুসারে, ২০২১ সালের ২য় প্রান্তিকে বাংলাদেশের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে রিয়েলমি। সমীক্ষা মতে ২৫৮ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে রিয়েলমি। ক্যানালিসের প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৩টি বাজারের শীর্ষ-৫ স্মার্টফোন নির্মাতার তালিকায় রয়েছে রিয়েলমি। বাংলাদেশ এবং ফিলিপাইনে প্রথম স্থান, ভারত ও রাশিয়ায় চতুর্থ স্থান এবং ইউরোপ অঞ্চলে পঞ্চম স্থান দখল করেছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি।

এ ছাড়াও রিয়েলমি সারা বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে দশ কোটি স্মার্টফোন বিক্রির মাইলফলক অর্জন করেছে। মার্কেট রিসার্চ কনসালটেন্সি স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের সমীক্ষা অনুসারে, ২০২০ ও ২০২১ সালে চলমান সংকটকালীন পরিস্থিতির মধ্যেও রিয়েলমি বৈশ্বিক স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে দ্রুততম সময়ে এই মাইলফলক অর্জন করেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশনের (আইডিসি) তথ্য অনুসারে, রিয়েলমি চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড, ব্র্যান্ডটির বছর শেষে প্রবৃদ্ধির হার ১৪৯ শতাংশ। এই অর্জন বিশ্বব্যাপী রিয়েলমির বিক্রয় এবং ব্যবসায়িক কৌশলের সফলতার প্রমাণ।

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত রিয়েলমি, বর্তমানে বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম স্মার্টফোন ব্র্যান্ড, বিশ্বের ৬১টি বাজারে এর উপস্থিতি রয়েছে। রিয়েলমি ১২৫ ওয়াট আল্ট্রাডার্ট চার্জিং প্রযুক্তি বাজারে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রথম প্রতিষ্ঠান এবং কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ প্রসেসর স্মার্টফোনে প্রথম ব্যবহার করার সুনাম অর্জন করেছিল। ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার প্রথম স্মার্টফোনগুলোর মধ্যেও রিয়েলমির ফোন অন্যতম। ২০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে ৫জি স্মার্টফোন বাজারে আনা প্রথম প্রতিষ্ঠানও রিয়েলমি।

রিয়েলমি’র সিইও স্কাই লি বলেন, তরুণেরা রিয়েলমির মাধ্যমে স্মার্টফোনের প্রতিষ্ঠিত শিল্পে প্রবেশ করেছেন এবং সবধরনের সুবিধা উপভোগ করতে পারছেন। রিয়েলমির জন্য বিগত তিন বছর ছিল উদ্যোগী প্রাণশক্তিতে এগিয়ে চলা এবং অভাবনীয় প্রবৃদ্ধির সময়। তরুণদের জন্যই আমরা দশ কোটি স্মার্টফোন শিপিংয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি এবং স্মার্টফোন বাজারে উল্লেখযোগ্য ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। রিয়েলমির পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে ২০২২ সালের মধ্যে আরও ১০ কোটি হ্যান্ডসেট শিপিং এবং ২০২৩ সালের মধ্যে আবারও একই মাইলফলক সম্পন্ন করা। এই লক্ষ্য পূরণে রিয়েলমি পণ্য বিকাশের এক বিশদ কৌশল গ্রহণ করেছে, যা দুই উপায়ে এর সম্প্রসারণ ঘটাবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *