উদ্যোগ সাম্প্রতিক সংবাদ

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০’ এ অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা

‘‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’’ এই স্লোগানে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২০’ আয়োজনের লোগো উন্মোচন ও কর্মসূচি ঘোষণা এবং জাতীয়ভাবে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন উপলক্ষ্যে গত শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে এবং আইসিটি অধিদপ্তরের আয়োজনে বিসিসি অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এমপি এবং সভাপতিত্ব আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ বি এম আরশাদ হোসেন, আইসিটি অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মো. আবুল হাশেমসহ বিসিসি, হাইটেক পার্ক, এটুআইয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

কুইজ প্রতিযোগিতা ২৭ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে অংশগ্রহণের রেজিস্ট্রেশন চলবে এবং ৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য রয়েছে ল্যাপটপ, স্মার্টফোনসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার। কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য একজন প্রতিযোগী একবার আবেদন করতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট ১ ঘন্টার মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ মিনিট পর্যন্ত সংযুক্ত থাকতে পারবেন। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। কুইজ প্রতিযোগিতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশের চার স্তম্ভ, নির্বাচনী ইশতেহার, ই-সেবা ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন নির্ধারণ করা হবে। quiz.digitalbangladesh.gov.bd এই লিংক-এ গিয়ে যে কোন বয়সের যে কেউ কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।

২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিগত তিন বছর ধরে এই দিনে জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস। এবারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪র্থ পর্ব। এ দিবসকে ঘিরে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থাসহ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি।

অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, যখন বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিলো পিছিয়ে পড়া, বিদ্যুত ব্যবহারকারী ছিলো ৪০ শতাংশের কম, মোবাইল ব্যবহারকারী ছিলো ৫৬ শতাংশের কম, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখান। নির্বাচনে বিজয় লাভের পর প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে। ফলে, আন্তর্জাতিক পরিসরেও আজ বাংলাদেশ হচ্ছে প্রশংসিত। আর এই অর্জনকে সামনে রেখেই আমরা প্রতি বছর জাতীয়ভাবে উদযাপন করছি ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস।

১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয়, জেলা পর্যায়ে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে আয়োজনের সূচনা করা হবে। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় আয়োজনে আরও থাকবে উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ, ‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও থাকছি সংযুক্ত’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার এবং অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা।

জেলা পর্যায়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য, সরকারি ও উন্নয়নমূলক সংস্থার প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত হবে সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও ওয়েবিনার এবং উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিত হবে উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পরিসরেও ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত হবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: ফিলোসফি অব রিভল্যুশন’ শীর্ষক সেমিনার। ডিজিটাল কাভার্ডভ্যানে ডিজিটাল কর্মকান্ডের প্রচার এবং বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় আলোকসজ্জ্বার পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরে বই প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়াও সচেতনতামূলক নাটিকা এবং অডিও-ভিজ্যুয়াল বিভিন্ন ডকুমেন্টারি, থিম সং, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে প্রচার করা হবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *