সাম্প্রতিক সংবাদ

সালতামামি ২০২৩: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটুআই

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে। শত বছরের পুরানো পদ্ধতির তথ্য, সেবা, লেনদেন, সরকার ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী এবং প্রযুক্তিনির্ভর করার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ এ। যা স্মার্ট বাংলাদেশে হবে আরও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমন্বিত।

২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য নির্ধারণ করেন চারটি স্তম্ভ; স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজব্যবস্থা। ২০২৩ থেকে ২০৪১ সাল এই ১৮ বছর হবে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ যাত্রা।

এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং হাতের মুঠোয় নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। একইসঙ্গে নাগরিকদের ব্যক্তি-চাহিদা অনুযায়ী সেবার উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করে আসছে। প্রযুক্তিনির্ভর সেবা উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ এটুআই এবং এর উদ্যোগসমূহ বছরজুড়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ১৭টিরও বেশি পুরস্কার অর্জন করেছে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইসিটি খাতের সবোর্চ্চ স্বীকৃতি জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০২৩ অর্জন করে এটুআই-এর কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার উদ্যোগ। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে ই-কমার্স সেবা পৌঁছে দিয়ে গ্রাম ও শহরের দূরত্ব কমিয়ে আনার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের এসডিজি ডিজিটাল গেমচেঞ্জার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে একশপ। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের লক্ষাধিক মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি ও শিক্ষাদানের স্বীকৃতিস্বরূপ উইটসা ২০২৩ গ্লোবাল ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস অর্জন করে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ (নাইস) ও মুক্তপাঠ প্ল্যাটফর্ম।

ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০২৩ অর্জন করে এটুআই

প্রতিবন্ধী ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণ, জীবনমান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, ইনক্লুসিভ শিক্ষা বাস্তবায়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য জাতীয় মানবকল্যাণ পদক-২০২১ অর্জন করে এটুআই। ৫ম বংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’-এ সেরা উদ্ভাবন হিসেবে নির্বাচিত হয় শিক্ষক বাতায়ন, মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক, অ্যাক্সেসিবল ডিকশনারি, কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার, এসডিজি ট্র্যাকার, ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি ডিজাইন ল্যাব (ডিএসডিএল) এবং কিশোর বাতায়ন। নারীদের ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ক্যাটাগরিতে বিআইজিডি’এর বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার অর্জন করে সাথী নেটওয়ার্ক।

প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনায় আইএসও সনদ
সরকারি প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ক্রয়কারী ও সরবরাহকারীদের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বেসরকারি খাতের দক্ষতা বাড়ানোয় সর্বদা উদ্যোগী এটুআই। এই প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের জন্য এবছর আন্তর্জাতিক মান সংস্থার (আইএসও) সনদ পায় এটুআই।

এক্সেসিবিলিটি গাইডলাইন
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সেবা প্রদান নিশ্চিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে এটুআই। এলক্ষ্যে এটুআই-এর ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফল হিসেবে সরকার এক্সেসিবিলিটি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছেন।

জাতীয় সংসদে এটুআই-২০২৩ বিল পাস
দেশের জনবান্ধব সেবাব্যবস্থা ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় এটুআই’কে প্রকল্প থেকে এজেন্সি গঠন করতে একাদশ জাতীয় সংসদে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই)’ বিল পাস করা হয়েছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি- ইউএনডিপির অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এটুআই কর্মসূচি শুরু হয়। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১৮ সালে এটুআই’কে আইসিটি বিভাগ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প হিসেবে ন্যস্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালে শুরু হয় এটুআই এর কার্যক্রম। শিগগিরই আইসিটি খাতে পলিসি এজেন্সি হিসেবে যাত্রা করবে এটুআই।

গ্লোবাল ক্যাম্পেইন: জিরো ডিজিটাল ডিভাইড
দেশের গন্ডি পেরিয়ে নানা উদ্ভাবন নিয়ে বিশ্বের বুকে উজ্জ্বল পদচারণা ছিল এটুআই-এর। ডিজিটাল বৈষম্য কমানোর বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় সহযোগী হিসেবে এটুআই ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন চালু করেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, আইসিটি বিভাগ, ইউএনডিপি এবং এটুআই ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ উদ্যোগের সূচনা করেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নিউইয়র্কে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি উচ্চ-পর্যায়ের ইভেন্ট চলাকালীন ২৫ সেপ্টেম্বর ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ উদ্যোগের সূচনা করেন। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বিভাজন মোকাবেলায় নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করা।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী শুরু হয়েছে জিরো ডিজিটাল ডিভাইড (#ZeroDigitalDivide) শীর্ষক গ্লোবাল ক্যাম্পেইন। প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে জ্ঞান বিনিময়ের পাশাপাশি ই-কোয়ালিটি সেন্টারের অধীনে ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক আইসিটি ইনোভেশন (আই-৩) ম্যাচিং ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে পাঁচটি দেশ- গাম্বিয়া, উগান্ডা, সাও টোমে ও প্রিন্সিপে, সোমালিয়া এবং ঘানা-কে প্রযুক্তিগত সহায়তায় আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

ডিপিআই অ্যান্ড এআই বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন
দেশে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মধ্যে নাগরিক সেবাকে ব্যক্তি পর্যায়ে পৌঁছাতে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) এর মতো ইকোসিস্টেম তৈরির গুরুত্ব সবার সামনে প্রথম নিয়ে আসে এটুআই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শতাধিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অক্টোবরে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ডিপিআই অ্যান্ড এআই বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন

ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ডিজিটাল বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন থেকে প্রযুক্তিখাতে গুরুত্বপূর্ণ ১০ দফার ‘ঢাকা সনদ ২০২৩’-এর ঘোষণা আসে। ঘোষিত সনদে ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ডিপিআই ও এআই শক্তিশালীকরণসহ ১০টি কার্যক্রমকে সনদ হিসেবে ধরা হয়।

উদ্ভাবনী উদ্যোগ
দেশের জনগণের হাতের মুঠোয় স্মার্ট সেবা পৌঁছে দিতে এটুআই-এর সহযোগিতায় বছরজুড়ে বেশ কয়েকটি স্মার্ট উদ্ভাবনী/উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে অক্টোবরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ উদ্বোধন করেন। জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে স্মার্ট সেবা; স্মার্ট ই-ট্রেড লাইসেন্স; সমন্বিত ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সেবা-একপাস; শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাপ-নৈপুণ্য এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য-স্মার্ট প্রেগনেন্সি মনিটরিং সিস্টেম। এ ছাড়াও নাগরিক সেবা আরও সহজ ও জনবান্ধব করে তুলতে বাংলা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপ ‘সাথী’ এর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জনগণের সকল সরকারি সেবা এক ঠিকানায় নিশ্চিত করতে চালু হওয়া মাইগভ প্ল্যাটফর্মে (mygov.bd) ৬০০-এর অধিক সরকারি সেবা যুক্ত হয়েছে।

শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ উদ্বোধন করেন

এর মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সিটিজেন চার্টারভুক্ত ২৭টি সেবাসহ আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ১৪৬টি সেবা, ঢাকা জেলা প্রশাসনের সিটিজেন চার্টারভুক্ত ৫৯টি সেবা, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের চারটি সেবা এবং অন্যান্য দপ্তর-সংস্থা ও মাঠপ্রশাসনের সেবাসমূহ। এ ছাড়া দেশের ৫০টির অধিক সরকারি-বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে নাইস প্ল্যাটফর্মে (nise.gov.bd) স্মার্ট ক্যারিয়ার গাইডেন্স নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।

‘কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী যুক্ত করা হয়েছে। তন্মধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। পাশাপাশি দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বিষয়ক ম্যাচমেকিং প্ল্যাটফর্ম নাইস-এ এই বছর ৫ লাখেরও বেশি যুবক যুক্ত হয়েছেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে এক লাখের অধিক দক্ষ যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

উদ্ভাবনে এটুআই
উদ্ভাবনী সংস্কৃতি বিকাশে এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে এটুআই ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এবছর জেলাসমূহের উদ্ভাবনী কার্যক্রমভিত্তিক প্রতিযোগিতা স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ; দেশে রকেট তৈরির আইডিয়া নিয়ে রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ; গৃহস্থালি ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানে পানি ব্যবহারের জন্য স্মার্ট মিটার ও সাব-মিটার তৈরি; গর্ভবর্তী নারীদের ডিজিটাল উপায়ে গর্ভাবস্থার গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক তথ্য পর্যবেক্ষণ; সরকারি অফিসের নথির জন্য কাস্টমাইজড পত্র তৈরি এবং আর্থিক লেনদেনে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।

ব্লেন্ডেড শিক্ষা বিষয়ক ইন্টারন্যাশনাল কনসালটেশন
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্লেন্ডেড শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই। দক্ষ জনবল তৈরি ও বাজারভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ব্লেন্ডেড শিক্ষার অপার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করেছে এটুআই। অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়নে সরকারি, বেসরকারি, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সকলকে একত্রে কাজ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন খাতের অংশীজনদের নিয়ে মে মাসে এক আন্তর্জাতিক কনসালটেশন এর আয়োজন করা হয়।

ব্লেন্ডেড শিক্ষা বিষয়ক ইন্টারন্যাশনাল কনসালটেশন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ও এটুআই এর সহযোগিতায় এই ইন্টারন্যাশনাল কনসালটেশনের আয়োজন করা হয়। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা মোকাবেলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে ব্লেন্ডেড শিক্ষাপদ্ধতি পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকরের উপযোগী করে তোলার জন্য সচেতনতা তৈরি করা ছিল এই কনসালটেশনের মূল লক্ষ্য।

দুর্যোগ মোকাবেলায় জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩
দেশের দুর্যোগের কঠিন সময়ে জনগণের পাশে ছিল জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩। উপকূলের ধেয়ে আসা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় দিনের ২৪ ঘণ্টা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩। টোল-ফ্রি কল সেবার মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত তথ্য, সতর্ক সংকেত ও আবহাওয়া বার্তা এবং জরুরি সহায়তা দিয়েছে এই জাতীয় হেল্পলাইন। এই সংকটাপন্ন সময়ে ‘মোখা’ সংক্রান্ত ১৪ লাখ কল এসেছে। দুর্যোগ সহায়তার কল আসে ৩৪ হাজারেরও বেশি।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *