সাম্প্রতিক সংবাদ

বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩

ক.বি.ডেস্ক: শুধু রাজধানী শহরেই নয়, এবারই প্রথমবারের মত ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩” আয়োজিত হচ্ছে বিভাগীয় পর্যায়েও। মে-জুলাই মাসব্যাপী দেশজুড়ে পালিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিপিও শিল্পের সর্ববৃহৎ, শীর্ষ সম্মেলন “বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩”। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগামী ২৩ মে শুরু হচ্ছে বিপিও সামিট।

২৪ মে নাটোরে এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ২০ জুলাই পর্যন্ত সাতটি বিভাগে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিপিও সামিট শেষ হবে ঢাকা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। এবারের বিপিও সামিটে থাকবে ক্যারিয়ার কাউন্সিল, সেমিনার ও চাকরি মেলা। এই মেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ঢাকামুখী না করে নিজ গ্রামে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার পরামর্শ দেয়া হবে।

এ আয়োজনের মাধ্যমে আইসিটি শিল্প বিকাশে আইসিটি পণ্য ও সেবা প্রদর্শনী, বিপিওখাতের অর্জন/সাফল্য ও সম্ভাবনা উপস্থাপন, তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন, ই-গভর্নেন্স, ই-কমার্স, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে দেশের অর্জিত সাফল্য বিশ্ববাসীসহ বাংলাদেশের জনগণের নিকট তুলে ধরা হবে।

আজ রোববার (২১ মে) ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপিসি’র নির্বাহী কর্মকর্তা মীর ফয়সাল খান, বাক্কো’র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. আবুল খায়ের, সহ-সভাপতি তানভীর ইব্রাহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তানজিরুল বাসার, অর্থ সম্পাদক আমিনুল হক, পরিচালক আবু দাউদ খান, আহমেদুল ইসলাম বাবু, ডা. তানজিবা রহমান, মুসনাদ ই আহমেদ এবং বাক্কো-এসইআইপি প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মো. মাহতাবুল হক। ।

আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিএস’র মহাসচিব মো. কামরুজ্জামান ভূূইয়া, টিএমজিবি’র সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন, বিডব্লিউআইটি’র সহ-সভাপতি নাজনীন কামাল, ই-ক্যাব’র সভাপতি শমী কায়সার এবং আইএসপিএবি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এ কাইয়ুম রাশেদ।

তৌহিদ হোসেন জানান, ২০২০ সালে বিপিও সেক্টরে ৭০ শতাংশ ব্যবসা কমলেও এখন এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠেছে এই খাত। ২০২৫ সালের মধ্যে বিপিও খাত থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষমাত্রা রয়েছে। এই সেক্টরে নতুন করে কর্মসংস্থান হবে এক লাখ মানুষের। বিপিও সামিটের মাধ্যমে এক হাজার তরুণের কর্মসংস্থান করা হবে। বিপিও খাতের ৩৫ শতাংশ কাজই হয় বিদেশী বাজারের জন্য। আর ৬৫ শতাংশ হয় দেশীয় বাজারের জন্য। এই বাজারের যোগ্য কর্মী গড়ে তুলতে বিপিও খাতে ৭ লাখ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

তানভীর ইব্রাহীম বলেন, বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও সর্বাধিক শক্তিশালী অর্থনীতিসমৃদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে পঁচিশতম অবস্থানে চলে আসবে এবং ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির মাইলফলক স্পর্শ করবে। আর এ অবস্থান অর্জনে আইসিটি খাত রাখবে অন্যতম ভূমিকা! আইসিটি খাত বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত একটি থ্রাস্ট সেক্টর; কেননা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে সর্বাধিক সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্প খাতের পরপরই এর অবস্থান।

পঞ্চমবারের মত বাক্কো’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিপিও সামিট। সার্বিক সহযোগিতায় বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল। সহযোগী হিসেবে থাকছে বিসিএস, বেসিস, আইএসপিএবি, টিএমজিবি, বিআইজেএফ, বিডব্লিউআইটি, ই-ক্যাব, উই এবং বিএফডিএস। সাতটি বিভাগে পর্যায়ক্রমে আলাদা আলাদাভাবে “বিভাগীয় বিপিও সামিট” উদযাপনের পর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চূড়ান্তভাবে আয়োজিত হবে “কেন্দ্রীয় বিপিও সামিট”।

প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ বাস্তবায়নের বৃহত্তর লক্ষ্যকে সফল করা, দেশীয় বিপিওশিল্পের বিকাশের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী এই শিল্পের ব্যাপ্তি ঘটাতে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩’ শীর্ষক আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম। অন্যদিকে এ সামিটের ‘ক্যারিয়ার ক্যাম্পেইন’ দেশের বিপিও খাতে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তুলতে ও সম্ভাবনাময় তরুণ-তরুণীদের উপযুক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করবে, এমনটাই বাক্কো’র আশাবাদ।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *