সাম্প্রতিক সংবাদ

আইসিটি’কে আলিঙ্গন করে দেশের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন

ক.বি.ডেস্ক: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘আইসিটি’কে আলিঙ্গন করে দেশের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তরুণ ও যুব সমাজের পেছনে তাকানোর আর সময় নেই।’

গতকাল শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের নিজস্ব ক্যাম্পাসে মিরপুর এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল (মটস)-এর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি মটস-এর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

মটস-এর সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান। সভাপতিত্ব করেন সেবাস্টিয়ান রোজারিও এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক জেমস গোমেজ।

বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার, কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বিশপ জেমস রমেন বৈরাগী, ঢাকা আর্চ ডায়োসিসের অবসরপ্রাপ্ত আর্চবিশপ কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, আখিলা ডি’রোজারিও, আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে পুষ্পিত, পল্লবিত ও বিকশিত হয়ে প্রায় ৪৮ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কারিতাস বাংলাদেশ অবদান রেখেছে। যারা এখান থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করছে, তাদের শতকরা ৯৫ ভাগই সুপ্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে মটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশ আজ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রসর হয়েছে। বিশ্বায়নের যুগে বিভিন্ন সুযোগকে তরুণ সমাজের কাজে লাগাতে হবে। বর্তমান সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে তৃণমূল পর্যায়ে আইসিটি ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। গ্রামে-উপজেলায় আজ ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে, যারা বাড়িতে বসে কমপিউটারে কাজ করে উপার্জন করছে। এভাবেই সকলকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে যেতে হবে।’’

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *