গেমস

খেলার চেয়েও বেশি কিছু – আবেগ ও অনুপ্রেরণায় ভরপুর ফুটবল

অপো ইন্সপিরেশনাল গেমসের সাক্ষাতকারে উঠে এলো তিনজন ফুটবল প্রেমীর গল্প। আপনার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় স্মৃতি কি ছিল? হয়তো বা যখন আপনি ও আপনার বন্ধুরা বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হয়েছেন, অথবা প্রথমবার যেদিন বেতন পেয়েছেন? নাকি যেদিন সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে আপনার টিম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল? সেটা যেদিনই হোক না কেন, সেই স্মরণীয় স্মৃতি আমাদের মন থেকে কখনো মুছে যাবে না।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৬৭ বছরের ইতিহাস আবেগী মুহূর্তও স্মরণীয় স্মৃতিতে পরিপূর্ণ। খেলোয়াড়দের দলগত নৈপুণ্য এবং খেলার প্রতি তাদের অনুরাগ ছিল চোখে পড়ার মতো। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ভক্তদের জন্য অপো আয়োজন করে একটি গ্লোবাল ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীদের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ তিনটিম্যাচ বাছাই করতে বলা হয়। প্রথমে, এমন মানুষদের খুঁজে বের করা হয় যারা ম্যাচগুলো সরাসরি দেখেছেন, পরবর্তীতে তাদের সাক্ষাত্কার নেয়া হয় এবং তাদের গল্প সবার কাছে তুলে ধরা হয়। ‘ইন্সপিরেশনাল গেমস’ শীর্ষক এই ক্যাম্পেইন ফুটবল ভক্তদের একত্রিত করবে বলে বিশ্বাস করে অপো।

মানুষ যখন কঠিন সময়ে বিশ্বাস ও মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলে, তখন এমন অনুপ্রেরণামূলক মুহূর্ত মানুষের জীবনে নতুন করে সাহস যোগায়। এই ক্যাম্পেইনে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের সাথে জড়িত আবেগঘন মুহূর্ত মনে করতে বলা হয়। এই গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে আরও অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

প্যারিস ভিত্তিক গ্রাফিক ডিজাইনার ও ফটোগ্রাফার ন্যাম কুন বলেন, “খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে যাওয়া সবসময় রোমাঞ্চকর।ফুটবল সবসময় আপনাকে আবেগী করে তুলবে এবং আপনি কখনোই বিরক্ত হবেন না। ন্যাম একজন ফিল্ড ফটোগ্রাফার হিসেবে পিএসজি ও বার্সেলোনার ঐতিহাসিক ম্যাচ দেখেছেন। প্রথম লেগে ৪-০ গোলে হারের পর, দ্বিতীয় লেগে ১-৬ গোলের জয় তুলে নেয়ার সাক্ষী ছিলেন তিনি।

টোনিন এল তোরেরো নামের আরেকজন ভক্ত বলেন, “রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি আবেগ ফ্যানদের মধ্যে এক ধরণের বন্ধন তৈরি করে।” টোনিন সেই সময়ের কথা স্মরণ করেন যখন তাদের দল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একটি চমৎকার গোল করে। সেই মুহূর্ত ছিল আনন্দ ও আশার এক অদ্ভুত মিশেল।

অপো সম্প্রতি মাইক ফার্নির সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছে, যিনি বিশেষভাবে সক্ষম ফ্যান হওয়ায় ভিন্নভাবে ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করেন। দৃষ্টিগতভাবে বিশেষভাবে সক্ষম একজন কীভাবে স্টেডিয়ামে বসে ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করতে পারে -এই প্রশ্নের উত্তর হলকোন জিনিসের প্রতি আপনার অনুরাগ। ফুটবলের প্রতি ছোটবেলার অনুরাগই তার আজীবনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে; আর এ কারণেই তার উপভোগ করা সবগুলো ম্যাচ তাকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।

মাইক ফার্নি জন্ম থেকেই দৃষ্টিগতভাবে বিশেষভাবে সক্ষম, কিন্তু এটি ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসা কমাতে পারেনি। লিভারপুলের মাধ্যমে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয় তার, যা আজ পর্যন্ত একই রকম আছে। দৃষ্টিগতভাবে বিশেষভাবে সক্ষমতার কঠিন সময়ে মাত্র ১৩ বছর বয়সে ইস্তাম্বুলে লিভারপুলের বিজয় তাকে গভীরভাবে নাড়া দেয়।
“তারা ইউরোপের সেরা একটি দলের বিপক্ষে তিন-শূন্যতে পিছিয়ে ছিল।” এখনও মাইক সেই সময়ের কথা খুব ভালোভাবে মনে করতে পারে। “খুব সহজেই হাল ছেড়ে দেয়া তখন সবচেয়ে সহজ কাজ ছিল। কিন্তু তারা সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। ওই মুহুর্তটি আসলে খুবই স্মরণীয় ছিল। তখন যা ঘটে তা আমার চিন্তার জগতকে নাড়া দিতে সক্ষম হয়। যদিও এটা ফুটবল খেলা ছিল, কিন্তু এটা আসলে আমার জীবনের জন্য খুব শিক্ষণীয় ছিল।”

মাঠে যা ঘটছিল তার সবকিছুর নিখুঁত বর্ণনা দিয়ে মাইককে সাহায্য করছিল তার ভাই স্টিফেন। আর মাইক স্টেডিয়ামে বসে থেকেই খেলার আনন্দ উপভোগ করছিল। স্টেডিয়ামে ভিড়ের মধ্যে উপস্থিত থেকে একটি আলাদা অনুভূতি পাওয়া যায়। সেই অনুভূতি মাইককে উদ্বেলিত করে, ম্যাচ উপভোগ করতে সাহায্য করে।

অপো এর মূলমন্ত্র ‘ইন্সপিরেশন এহেড’ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষের খেলা উপভোগ করার মাধ্যমে নতুন মাত্রা যোগ করতে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে মাইকের মতো যারা দৃষ্টিগতভাবে ও অন্যান্যভাবে বিশেষভাবে সক্ষম তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উপযুক্ত প্রযুক্তি। কালার ভিশন এনহান্সমেন্ট টেকনোলজির কথা, যা অপো ফাইন্ড এক্স৩ সিরিজে সংযোজন করা হয়েছে। কালার ভিশন সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষদের সাহায্য করতে এটি ডিজাইন করা হয়েছে।

এ ছাড়া, সহজে ব্যবহারোপযোগী প্রযুক্তি তৈরির চেষ্টা করছে অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউট ইনোভেশন অ্যাক্সিলারেটর, যা এবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে। অ্যাক্সিলারেটরের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যুগান্তকারী সব ভাবনাকে বাস্তবে রূপদান করা। যতো বাধাই আসুক না কেন, অপো এর ‘ইন্সপিরেশন এহেড’ মূলমন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে সমস্ত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন চালিয়ে যাবে। মানুষের জীবনকে আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলতে কাজ করে যাবে অপো; যেন সবাই তাদের নিজস্ব কাজের মাধ্যমে অনুপ্রেরণার উৎস খুঁজে নিতে পারে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *