সাম্প্রতিক সংবাদ

বাংলাদেশ-কোরিয়া ড্রোন রোড শো

ক.বি.ডেস্ক: ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস আয়োজন করে ‘‘বাংলাদেশ-কোরিয়া ড্রোন রোড শো ২০২২’’ শীর্ষক সম্মেলন। ইউএভি (আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকল) ও এ সম্পর্কিত সফটওয়্যার সমাধানগুলোর ওপর সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো ড্রোন প্রযুক্তির গুরুত্ব ও বৈচিত্র্যময় ব্যবহারের প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়িক খাতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং এই প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা সকলের নিকট তুলে ধরা। সম্মেলনে কোরিয়ার ৬টি প্রতিষ্ঠান তাদের ড্রোন ও জিআইএস বিষয়ক পণ্য ও সেবা প্রদর্শণ করে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-কোরিয়া ড্রোন রোড শো ২০২২’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, সিইজিআইএসর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, কে-বিডি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইয়ং ওহ রিউ প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরীর লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন তৈরিতে কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কোরিয়ার প্রাইভেট সেক্টর আমাদের দেশে খুব ভালোভাবে কাজ করছে ও একই সঙ্গে বাংলাদেশ গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা প্রদান করতেও প্রস্তুত রয়েছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্টার্টআপ, উদ্ভাবক, বিজনেস প্রতিষ্ঠানসহ পুরো আইসিটি খাতের জন্যে একটি নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। এই রোড শো আমাদের প্রযুক্তি খাতের স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবকদের উতসাহিত করবে এবং তাদের জন্যে খুবই সহায়ক হবে। ড্রোন প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করার মাধ্যমে দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে, পানি দূষণ রোধে ড্রোন টেকনোলজি ব্যবহার করা যেতে পারে। বাংলাদেশ-কোরিয়া আগামী দিনে জিটুজি, জিটুবি এবং বিটুবি ম্যাচমেকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রযুক্তি উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, বিশ্বে ড্রোন প্রযুক্তির মার্কেট খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ-কোরিয়া যৌথভাবে ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশের ড্রোন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কোরিয়া-বাংলাদেশ পার্টনারশিপের মাধ্যমে এ প্রযুক্তি উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

আয়োজনটি কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন একটি সুযোগ তৈরি করবে বলে আশা করছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ। রোডশোর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশের সরকারি কর্তৃপক্ষ থেকে উপস্থাপনাসহ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের পণ্য-নির্দিষ্ট উপস্থাপনাগুলোর একটি সিরিজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর ফলে তারা এই ক্ষেত্রে কীভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কোরিয়া যে সমাধানগুলো অফার করতে পারে তার কিছু ব্যাখ্যা করা হয় উক্ত অনুষ্ঠানে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *