প্রতিবেদন সাম্প্রতিক সংবাদ

২০২০ ছিলো স্থানীয় বাজারকে গুরুত্ব দেয়ার বছর: ভিভো

স্থানীয় ক্রেতাদের প্রাধান্য দিয়েই কাজ করতে চায় বহুজাতিক স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। গত বছর এভাবেই বাংলাদেশের বাজারে সর্বস্তরের ক্রেতাদের মন জয় করে নেয় ভিভো। ইংরেজিতে ভিভোর স্লোগান ‘মোর লোকাল, মোর গ্লোবাল’। অর্থাত, স্থানীয় বাজারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই আন্তর্জাতিক বাজারে ছড়িয়ে পড়তে চায় ভিভো।

ভিভো বাংলাদেশের বাজারে যাত্রা করে তিন বছর আগে। এরই মধ্যে সারা দেশে ভিভো স্থাপন করেছে এক হাজারেরও বেশি ব্র্যান্ড স্টোর এবং সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি রিটেইল স্টোর। বাংলাদেশে বর্তমানে ভিভোর সার্ভিস সেন্টার রয়েছে ১৪টি। বিশেষ সার্ভিস সেন্টার আছে ২টি। সাধারণত তরুণ নির্ভর প্রতিষ্ঠান হলেও স্মার্টফোন বাজারের সর্বস্তরের মানুষের জন্য স্মার্টফোন আনে ভিভো। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর মিডরেঞ্জের স্মার্টফোনগুলোতে জোর দিয়েছে ভিভো। এখন বাজারে ভিভোর ওয়াই সিরিজের মধ্যে রয়েছে ওয়াই৯১সি, ওয়াই৩০, ওয়াই৫০, ওয়াই২০ স্মার্টফোনগুলো। আর ভি সিরিজের মধ্যে এখন বাজারে আছে ভিভো ভি১৯, ভি২০ এবং ভি২০এসই।

স্মার্টফোন তৈরি ছাড়াও ৫জি নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও বিশাল অর্জন রয়েছে ভিভোর। অন্যান্য কোম্পানিগুলো যখন ৫জি বাজারে মানিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি পর্বে, তখন ভিভো ইতিমধ্যেই বাজারে ৫জি স্মার্টফোন নিয়ে এসেছে। বিশ্ব বাজারে ভিভোর স্মার্টফোন আইকিউও ওপ্রোতে ৫জি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সমন্বয়  করা হয়েছে। বর্তমানে ৬জি প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করছে ভিভো। দক্ষিণ এশিয়ার পর সম্প্রতি ইউরোপের ৬টি দেশের মোবাইল বাজারে প্রবেশ করেছে ভিভো। এর মধ্যে রয়েছে-ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন এবং যুক্তরাজ্য। এদিকে সম্প্রতি মোবাইল ইমেজিং প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন ও উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান জেইসের সঙ্গে একটি কৌশলগত দীর্ঘমেয়াদি পার্টনারশিপও করেছে ভিভো।   

বাংলাদেশের বাজারকে গুরুত্ব দেয়ার অংশ হিসেবে সবসময়ই বিক্রয় পরবর্তী সেবার দিকে জোর দিয়েছে ভিভো। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ভিভো উদ্বোধন করেছে ‘ভিভো সার্ভিস ডে’। এখন থেকে প্রতি মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার ভিভো সার্ভিস ডে পালিত হবে। এ দিন ভিভো ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে বিক্রয় পরবর্তী সেবা পাবেন। ঐদিন ভিভোর অনুমোদিত সকল সার্ভিস সেন্টারে ১০ শতাংশ ছাড়ে মোবাইল এক্সেসরিজ কেনা যাবে। বিনা মূল্যে সেবাগুলোর মধ্যে থাকবে ফ্রি পেস্টিং অব প্রটেক্টিং ফিল্ম, ফ্রি সফটওয়্যার আপগ্রেডের সেবা। স্মার্টফোনের চার্জার, ডাটা ক্যাবল ও ইয়ারফোন কেনার ক্ষেত্রেও থাকবে ১০ শতাংশ ছাড়।

২০২০ সাল নিয়ে ভিভোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডিউক বলেন, ২০২০ সালে ভিভো স্থানীয় বাজারে জোর দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি স্থানীয় বাজারের মাধ্যমেই বিশ্ব বাজারে প্রতিনিধিত্ব করা সম্ভব। এ ছাড়াও তরুণদের জন্য ইউরো ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের স্পন্সর হয়েছে ভিভো। নতুন বছরে ভিভো গ্রাহকরা নতুন অনেক উদ্ভাবন পাবেন বলেই আশা করছি। 

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *