সাম্প্রতিক সংবাদ

হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতায় এপিএসি পর্বে রুয়েট তৃতীয়

ক.বি.ডেস্ক: হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতায় এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর শিক্ষার্থীদের একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

বিজয়ী দলে রয়েছে রুয়েট এর কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (সিএসই) শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার এবং মো. মাজহারুল ইসলাম। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় তাদের হাতে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রুয়েট এর সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন সৃজন।

আগামী মাসে রুয়েট এর দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নেবে। গ্লোবাল রাউন্ডে প্রায় ৪০টি দেশের পাঁচশ’র বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি ১৭০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করবে।

বিজয়ী দলের সদস্য শুভাম আগারওয়ালা বলেন, ‘‘এই প্রতিযোগিতা আমাদের আইসিটি এবং নেটওয়ার্ক সেক্টর সম্পর্কে নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও আসতে পেরেছি। মঞ্চে সবার সামনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়ানো আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা গ্লোবাল রাউন্ডে আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা আমাদের থাকবে।’’

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিজংশেং (জেসন) বলেন, ‘‘হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, তরুণরা যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যে বিশাল সংখ্যক তরুণ রয়েছে তাদের সম্ভাবনা অসীম। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই হুয়াওয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আইসিটির জ্ঞান বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের উদ্যোগের নিয়ে আসছে। বিজয়ী দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশে প্রতিভা বিকাশের জন্য একটি দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাব।’’

অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন সৃজন বলেন, ‘‘আমার ছাত্ররা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শুধু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছে না, তারা সকলের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে নিয়েছে। এতে আমি খুবই গর্ববোধ করছি। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ফলে তাদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমন আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। তাদেরকে এমন একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম দেয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।’’

গত বছর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক ট্র্যাক, ক্লাউড ট্র্যাক, কম্পিউটিং ট্র্যাক ও ইনোভেশন ট্র্যাকের চারটি গ্রুপে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। পরে তাদের মধ্য থেকে শীর্ষ ১২জন চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে যোগ দেয়।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *