সাম্প্রতিক সংবাদ

কৃষিতে আইসিটির ব্যবহারে বাস্তবায়ন হবে স্মার্ট বাংলাদেশ

ক.বি.ডেস্ক: আইসিটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছে আইসিটি। সফটওয়্যার এবং অন্যান্য আইটি পণ্য বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করা হয়। কৃষিতেও বাংলাদেশে বিল্পব ঘটেছে, যার পেছনের বড় কারণ আইসিটি। কৃষক যেকোন প্রয়োজনে ইউটিউব, ফেসবুক দেখে কৃষিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। কৃষিতে আইসিটির ব্যবহার করে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্থবায়ন সম্ভব।

আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেসিস সফটএক্সপো’র তৃতীয় দিনে ‘ইউজ অব আইসিটি অ্যান্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ’ শীর্ষক সেমিনারে খাত সংশ্লিষ্টরা এসব কথা বলেছেন।

বেসিস অ্যাডভাইজরি স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম রাশিদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. আতিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। আলোচক ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রকল্প পরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম ও বেসিস পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল। সেমিনারে সমাপনী বক্তব্য রাখেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।

ড. আতিউর রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আইসিটিকে নিয়ে স্বপ্ন জেগেছে আমাদের, এই স্বপ্নকে বাস্থবায়ন করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যাংক গঠনে আমরা কাজ করেছি, এর সুফল ভোগ করছে রিক্সাচালক থেকে শুরু করে দেশের ৪০ শতাংশ কৃষক। এরইমধ্যে ৩২ লাখ স্কুল শিক্ষার্থীর ব্যাংকিং সুবিধা চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এখন স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে।

অধ্যাপক এম এ সাত্তার মন্ডল বলেন, সিলিকন ভ্যালীতে বর্তমানে ১০ জন আইসিটিবিদের মধ্যে ৫ জন ভারতের। আমি চাই আগামীতে বাংলাদেশের দুই জন থাকবে।

মো. ফজলুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে যত মামলা হয় তার ৭০ শতাংশ জমি বিষয়ক। এই ধরনের মামলা আইসিটি ব্যবহার করে সহজেই সমাধান করা সম্ভব। পাশাপাশি স্থাস্থ্য খাতে আমাদের দেশে ৬৫ শতাংশ মানুষের নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করতে হয়। এটাও কমিয়ে আনা সম্ভব। বতর্মানে আধুনিক সব স্মার্টওয়াচ ব্যবহার হচ্ছে। স্বাস্থ্যর সকল তথ্য স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে। আইসিটি ব্যবহার করে স্বাস্থ্য খাতে বিপুল পরিবর্তন আনা সম্ভব। প্রতিবছর ২১ লাখ তরুণ-তরুণী জব সেক্টরে প্রবেশ করছে, সবাইকে জব দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আইসিটির টুলসের ব্যবহারের ফলে ৫০ শতাংশ মানুষের পরিবর্তন ঘটবে। মর্ডান টেকনোলজির মাধ্যম কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটানো সক্ষম হবে। জমিতে কতটুক পানি, সার প্রয়োজন সব কিছুই আগে থেকে আইসিটির ব্যবহারের ফলে জানা যাচ্ছে। তবে আইসিটির সঠিক ব্যবহারের জন্য দক্ষ জনগোষ্ঠী প্রয়োজন, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করতে হবে।

রাসেল টি আহমেদ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষ মূল্যায়নের পাশাপাশি সরকার, শিল্পখাত ও অ্যাকাডেমিক সমন্বয়ের ৩/৩ ফর্মুলা তুলে ধরেন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *