উদ্যোগ

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক চ্যালেঞ্জ ২০২২

ক.বি.ডেস্ক: পার্বত্য অঞ্চলের নারীদের জীবনমান উন্নয়নে উদ্ভাবনী আইডিয়া প্রতিযোগিতা ‘‘পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক চ্যালেঞ্জ ২০২২’’ শুরু হলো। পার্বত্য চট্টগ্রামের নারীদের জীবনমান উন্নয়নে পরিবেশবান্ধব স্যানিটারি প্যাড এবং রান্নার চুলা উদ্ভাবনের খোঁজে আইডিয়া প্রতিযোগিতা শুরু করা হয়েছে।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য আগামী ৮ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে আগ্রহী উদ্ভাবকেরা তাদের আইডিয়া জমা দিতে পারবেন। নাগরিকদের কাছ থেকে জমা হওয়া উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো থেকে টেকসই ও সাশ্রয়ী দুটি আইডিয়াকে পুরস্কৃত করা হবে। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দুটি নতুন উদ্ভাবনকে প্রোটোটাইপ উন্নয়ন এবং পাইলটিংয়ের জন্য সীড মানি হিসেবে ২৫ লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হবে। এই প্রতিযোগিতার বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ilab.gov.bd/cht-challenge-2022/

পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলায় বসবাস করা মেয়ে ও নারীদের জন্য পরিবেশবান্ধব স্যানিটারি প্যাড এবং উন্নত রান্নার চুলা উদ্ভাবনের সর্বোত্তম সমাধানের খোঁজে এই আইডিয়া প্রতিযোগিতা চালু হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ইউএনডিপি স্ট্রেংথেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস (এসআইডি-সিএইচটি) আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছে এটুআই ইনোভেশন ল্যাব এবং আর্থিক সহাযোগিতা প্রদান করছে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক চ্যালেঞ্জ ২০২২’ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মত হামিদা বেগম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি প্রসেনজিত চাকমা। সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সত্যেন্দ্র কুমার সরকার।

মোসাম্ম হামিদা বেগম বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কারণে নারীদের উতপাদন ক্ষমতা আগে থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় উদ্ভাবন সবার ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি করতে পারলে উদ্ভাবনের সম্ভাবনাগুলোকে পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হবে। এধরনের স্থানীয় উদ্ভাবনের ফলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যেও উদ্ভাবন চর্চা বৃদ্ধি পাবে।

ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, সরকারি সেবাগুলোকে আরও বেশি জনবান্ধব করতে আমরা সহায়তা করে যাচ্ছি। জ্বালানির ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিনির্ভর স্থানীয় উদ্ভাবন নিয়ে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। পাবর্ত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিনির্ভর সহযোগিতা করতে এটুআই সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *