উদ্যোগ সাম্প্রতিক সংবাদ

প্রেক্ষাপট কোভিড-১৯: টেলিমেডিসিন সেবা

করোনা যুদ্ধে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে অনেকে এতে সংক্রমিত হয়েছেন, আবার অনেকেই আছেন কোয়ারেন্টিনে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। কাজেই চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী ও রোগী অর্থাৎ সকল পক্ষকেই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চিকিৎস কার্যক্রম চালাতে হবে। কাজেই বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা দেশে মোবাইল বা টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ওয়েবসাইট: দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৮টি হাসপাতালে উন্নত মানের টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে এবং যুক্ত করা হচ্ছে আরও ১০টি হাসপাতাল। টেলিমেডিসিন সেবা চালুর ফলে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা আধুনিক মানের টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালগুলোতে আধুনিক মানের  ওয়েব ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকে টেলিমেডিসিন সেবা: দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওয়েব ক্যামেরাযুক্ত মিনি ল্যাপটপ সরবরাহ করা হচ্ছে।  দেশ জুড়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে ল্যাপটপ সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে দেশের সব ইউনিয়িন স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ সবগুলো কমিউনিটি ক্লিনিকে ল্যাপটপ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এসব মিনি ল্যাপটপে তারহীন ইন্টারনেট সংযোগ থাকছে। টেলিমেডিসিন সেবা প্রদানের কাজে ল্যাপটপগুলো ব্যবহার করা হবে। যেসব রোগীর চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হবে, সেসব রোগীর জন্য ভিডিও কনফারেন্স চালু করে উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে টেলিমেডিসিন: দেশের ২২টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রেও টেলিমেডিসিন সেবা দেয়া হচ্ছে স্কাইপে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস বিভাগে বসে চিকিৎসকগণ বিনামূল্যে প্রতি কর্ম দিবসে এই সেবা দিচ্ছেন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *