পেপ্যাল জটিলতায় শিগগিরি দেশে ‘স্ট্রিপ’ ও ‘আলী পে’আনা হচ্ছে: ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব

ক.বি.ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে প্রণোদনা, পেমেন্ট গেটওয়ে সমস্যা নিরসন, অফিস সুবিধা- এই তিন চাহিদা অনুভব করে সরকার। ইতিমধ্যে আমরা গুগল পে চালু করতে সক্ষম হয়েছি। আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে ‘স্ট্রিপ’-এর সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। এ ছাড়া পেপ্যালকে বাংলাদেশের বাজারে আনতে আমাদের কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে এর জন্য বিডাসহ আমাদের অনেকগুলো টিম একসঙ্গে কাজ করছে। পেপ্যাল জটিলতায় শিগগিরি দেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে ‘স্ট্রিপ’ ও ‘আলী পে’ আনা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার (২১ জুন) ঢাকার সেনাপ্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই মন্তব্য করেন।
‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মো. আবু সাঈদ। সভাপতিত্ব করেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাক্কো’র সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাক্কো’র সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম।
দেশের সর্ববৃহৎ আউটসোর্সিং শিল্পভিত্তিক দুই দিনব্যাপী (২১-২২ জুন) আয়োজন ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫’ ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), আইসিটি অধিদপ্তর এবং বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি)-এর যৌথ উদ্যোগে। সম্মেলনের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘‘দেশ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে আইসিটি পণ্যের রপ্তানি বেড়ে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া আমরা উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনায় তুলে ধরব। এর ফলে ভবিষ্যতে আইসিটি খাতে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশে কোনো বাধা থাকবে না। ঢাকায় একাধিক স্থানে সফটওয়্যার পার্ক তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন কামরাঙ্গীরচর ও মিরপুরের আশপাশে আমাদের বেশ কিছু জমি দেখিয়েছে। তেজগাঁওয়ে বিটিসিএলের পুরোনো জমি ও পূর্বাচলে হাইটেক সফটওয়্যার পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। সফটওয়্যার পার্ক স্থাপিত হলে আপনাদের আমরা কম খরচে অফিস ভাড়া দিতে পারব।’’
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘‘দেশে এত দিন নানা ডিজিটাল উদ্যোগ থাকলেও সেগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ ছিল না। একেকটি বিচ্ছিন্ন ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ ছিল। তাই ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ও এআই খাতকে অগ্রাধিকার দিতে প্রচলিত খাতগুলোতে প্রণোদনা কমিয়ে এবার এই খাতে প্রণোদনা বাড়ানো হতে পারে। এখন এলএলএম বা এআই-কে আলিঙ্গন না করলে ব্যবসায়ীদের ঝড়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই এক জায়গায় স্থির থাকা যাবে না। সরকারের ৫৭টি মন্ত্রণালয়কে ডিজিটাল রূপান্তরে আসতে হবে। পেশাগত উন্নয়নে সবাইকে রিইউনিয়ন, রিবিল্ড করতে হবে। রিফারবিশ আইটি পণ্য যেন দেশে আমদানী করা না হয় সে জন্য আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আমরা বলবো। আর তারা যেন এর পরিবর্তে সিপিইউ, জিপইউ আমদানি করেন সেজন্য অনুরোধ করবো।’’