‘ডব্লিউআইসিই ২০২৫’- এর জাতীয় বাছাই পর্বে ইউআইটিএস’র সাতটি দল

ক.বি.ডেস্ক: ওয়ার্ল্ড ইনভেনশন কম্পিটিশন অ্যান্ড এক্সিবিশন (ডব্লিউআইসিই) সপ্তম আসরে অংশগ্রহণ করেছে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর সাতটি দল। দলগুলো হলো- এইড অন এয়ার, স্ক্র্যাপ ভেঞ্চার, ক্লাউড ড্রোন, পেল্টিয়ার্স, নেক্সোরা, সোলার ট্র্যাকিং সিস্টেম, ইকো রিভার এআই। এই জাতীয় প্রতিযোগিতা তরুণ বাংলাদেশী উদ্ভাবকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ।
গত শুক্রবার (৩০ মে) বৈশ্বিক এই আসরে টিকিট পেতে ‘ডব্লিউআইসিই ২০২৫’-এর বাছাই পর্বটি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর আফতাব নগরে ইমপেরিয়াল কলেজ ক্যাম্পাসে। এই উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় দেশের অর্ধশতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১২০টি প্রকল্প উপস্থাপিত হয়। আগামী সপ্তাহেই এদের মধ্য থেকে সেরা দশ প্রকল্প বাছাই করা হবে। এর পর চূড়ান্ত ধাপে ৩-৫টি দল আগামী সেপ্টেম্বর মালেয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ফাইনালে নিজেদের প্রকল্প উপস্থাপনের সুযোগ পাবে।
ডব্লিউআইসিই ২০২৫ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পতাকা বহন করার স্বপ্ন নিয়ে বাছাই পর্বে ইউআইটিএস’র সিএসই বিভাগের সহযোগিতায় বাছাই পর্বে অংশ নেয়া ‘এইড অন এয়ার’ দলের সদস্যরা হলেন ইশরাক উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল মোমেন সাফিন ও কাজী মো. আজহার উদ্দিন আবীর। ‘স্ক্র্যাপ ভেঞ্চার’ দলের সদস্যরা হলেন মোতালেব হোসেন ইমন ও ফাহিমা আবিদা চৌধুরী। ‘ক্লাউড ড্রোন’ দলের সদস্যরা হলেন মো ইব্রাহিম, রেদুয়ানুল করিম আবিদ ও অর্পা ভৌমিক।
‘প্যালেটিয়ার্স’ দলের সদস্যরা হলেন আসিফ মাহমুদ, নুসরাত জাহান অ্যানি ও জিহাদুল জারিফ সিয়াম। ‘নেক্সোরা’ দলের সদস্যরা হলেন বিশ্বজিৎ রায়, তানভীর মাহমুদ শাহীন ও সওদা আখতার। ‘সোলার ট্র্যাকিং সিস্টেম’ দলে সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ নিহাপ, গোলাম ইরফান খান ও অরণ্য আর্নেস্ট নাথ এবং ‘ইকো রিভার এআই’ দলের সদস্যরা হলেন মিমতাজ, তাসফিয়া আমিনুল মিমি ও তানভীর আহমেদ খান।
ইন্দোনেশিয়া ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইওয়াইএসএ) আয়োজনে প্রতিযোগিতায় আইটি ও রোবোটিক্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইনোভেটিভ সোশ্যাল সায়েন্স, অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অ্যাপ্লাইড লাইফ সায়েন্স বিভাগে টেকসই ও উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করবেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অংশগ্রহণকারীরা ওয়াল ম্যাগাজিন এবং অলিম্পিয়াড ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা করতে পারবে। প্রতিটি বিভাগে অংশগ্রহণকারীরা গোল্ড, সিলভার এবং ব্রোঞ্জ মেডেল সহ বিভিন্ন পুরস্কারের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। বেস্ট কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, বেস্ট প্রজেক্ট, ডিওবি স্পেশাল, টিএ স্পেশাল এবং পার্টিসিপেশন অ্যাওয়ার্ড থাকছে প্রতিযোগিতায়।
ডব্লিউআইসিই একটি বিশ্বস্বীকৃত প্ল্যাটফর্ম, যা তরুণ উদ্ভাবকদের একত্রিত করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং সামাজিক উদ্ভাবনে তাদের যুগান্তকারী ধারণাগুলো তুলে ধরার সুযোগ দেয়। ডব্লিউআইসিই-এ বাংলাদেশ গত দুই বছর ধরে গোল্ড মেডেল অর্জন করেছে, যা আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের তরুণদের অপার প্রতিভা ও সম্ভাবনাকে তুলে ধরেছে। গত বছর বাংলাদেশ বেস্ট কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।