ল্যাপটপের যত্নে করণীয়
এই মুহূর্তে ডেস্কটপ কমপিউটার থেকে ল্যাপটপের চাহিদা সব থেকে বেশী। সহজে বহন করা যায়, বিদ্যুৎবিহীন অবস্থাতেও ঘন্টা চারেক চালানো যায় সব কিছু মিলেই ল্যাপটপ সবার প্রথম পছন্দের। তবে সব ভালো জিনিসরই একটা খারাপ দিক আছে। ঠিক তেমনই ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও। ল্যাপটপের কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে একটু বেশিই অসুবিধায় পড়তে হয়। আর এজন্য ল্যাপটপ যত্ন সহকারে ব্যবহার করা প্রয়োজন। ল্যাপটপকে ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে ভালো রাখা যায় আসুন দেখে নেয়া যাক…
ল্যাপটপকে ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করুন
আপনার ল্যাপটপ যতই গরম হবে ল্যাপটপের ততই সমস্যা হবে। এজন্য চেষ্টা করবেন যতটুকু সম্ভব ল্যাপটপ ঠাণ্ডা রাখতে। আপনার যদি অভ্যাস থাকে বিছানা, বালিশ কিংবা কুশন টেবিল হিসেবে ব্যবহার করে ল্যাপটপ চালান তাহলে নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মারছেন। কারণ এর ফলে ল্যাপটপটির বাতাস চলার পথ বন্ধ হয়ে এটি ক্রমশই গরম হয়ে উঠবে। ল্যাপটপের ভেতরটা গরম বা ঠাণ্ডা রাখার ব্যাপারে সরাসরি আপনার হাতে না থাকলেও বাইরে থেকে একে ঠাণ্ডা রাখার উদ্যোগ অবশ্যই আপনি নিতে পারেন।
ব্যবহার করতে পারেন কুলিং প্যাড
ল্যাপটপ ঠান্ডা রাখতে ব্যবহার করতে পারেন কুলিং প্যাড যা দুই বা ততোধিক ইউএসবি পাওয়ার ও ফ্যানের সাহায্যে ল্যাপটপ থেকে তাপ কমাতে সাহায্য করে। দেশের প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের কুলিং ফ্যান পাওয়া যায়। ল্যাপটপ শক্ত মসৃণ স্থানে ব্যবহার করুন।
ল্যাপটপের ব্যাটারির যত্ন নিন
যতই সময় যাবে, ল্যাপটপের ব্যাটারির আয়ু ততই কমতে থাকবে। কত দ্রুত এটি ঘটবে তা নির্ভর করে আপনার ব্যবহারের ওপর। সাধারণ ব্যবহারের পর আস্তে আস্তে ব্যাটারির আয়ু ক্ষয় হতে থাকে। যখন মেইন পাওয়ার থেকে চালাবেন না শুধু ব্যাটারি দিয়ে চালাবেন তখন খেয়াল রাখবেন ব্যাটারির প্রায় চার্জ শেষ হওয়া পর্যন্ত চালাবেন। মাঝখানে চার্জ দিতে শুরু করলে ব্যাটারির আয়ু কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সুযোগ থাকলে মেন পাওয়ার দিয়ে ল্যাপটপ চালানোই উত্তম। তবে সপ্তাহে কমপক্ষে একবার থেকে দুবার ব্যাটরির চার্জ সম্পূর্ণ শেষ করে নতুন করে চার্জ দেওয়াটা ব্যাটারির জন্য ভালো।
হার্ড ড্রাইভকে রিফরম্যাট করুন
আপনার ল্যাপটপের হার্ড ড্রাইভকে রিফরম্যাট করুন করে পুনরায় অপারেটিং সিস্টেমে ইনস্টল করুন। যদিও এটি সময় সাপেক্ষ কাজ তারপর ও ভালো ফল পাবেন। প্রয়োজনীয় ডাটা ও ফাইলের ব্যাকআপ নিতে ভুলবেন না। এই কাজটি বছরে একবার করলেই আপনি অনেক সুবিধা পাবেন। সাবধানে বহন করুন আপনার ল্যাপটপটি।
গঠনগত দিক থেকেই ডেস্কটপের চাইতে ল্যাপটপ অনেক বেশি স্পর্শকাতর। কাজেই ল্যাপটপকে সাবধানে ব্যবহার যেমন করবেন তেমনি সাবধানে এটিকে বহনও করতে হবে। এটিকে বহন করার জন্য এমন একটি ব্যাগ ব্যবহার করুন, যা আপনার ল্যাপটপকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেবে। যানবাহনে আপনার ল্যাপটপকে সাবধানে সঙ্গে নিন যাতে কোথাও ধাক্কা না লাগে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, আপনি ল্যাপটপের প্রতি মনোযোগী হলেই নিজেই বুঝতে পারবেন কিভাবে আপনার গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রটি ব্যবহার করবেন।