সাম্প্রতিক সংবাদ

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন খুব শীঘ্রই প্রণয়ণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি: প্রতিমন্ত্রী পলক

ক.বি.ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্সের জন্য প্রচুর পরিমাণে প্রসেসেবল ডেটার প্রয়োজন। সেজন্য ডেটার ক্ল্যাসিফিকেশন প্রয়োজন, যাতে করে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে না পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে আমরা ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন খুব শীঘ্রই প্রণয়ণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে আমরা ডেটার ক্ল্যাসিফিকেশনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা, দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত রাখতে পারি।

গতকাল সোমবার (৩ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড আয়োজিত দেশের সর্ববৃহৎ ডেটা সায়েন্স প্রতিযোগিতা ‘ডেটাথন ৩.০’ এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী পলক।

‘ডেটাথন ৩.০’ এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি।

রবি আজিয়াটা লিমিটেড আয়োজিত ডেটাথন ৩.০-এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ‘এসিআই সার্ভার ডাউন’, পেয়েছে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার। প্রথম রানার আপ টিম ‘ইয়েলো কিং’, ৩ লাখ টাকা পুরস্কার এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে টিম ‘বিগ ডেটা এআই ডেটা সায়েন্স’, ২ লাখ টাকার পুরস্কার।

‘ডেটাথন ৩.০’ এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ সহ বিজয়ী তিন দল

ডেটাথন ৩.০ প্রতিযোগিতায় ৩,৫০০ জনেরও বেশি প্রতিযোগী ১,০০০টিরও বেশি দলে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করে। নানা ধাপে আয়োজিত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে ২৩টি দলের ৯৯ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। গত ২৪ ও ২৫ মে রবি করপোরেট অফিসে আয়োজিত ৪৮ ঘণ্টার ম্যারাথন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ডেটাথন ৩.০-এর বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “দেশের মেধাবী ছেলেমেয়েদের মেধা এবং প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে আমাদের ডেটাগুলোকে যদি সেফ-ক্লিন-প্রসেসেবল করতে পারি, তাহলে আমরা ডেটা-ড্রিভেন ডিসিশন মেকিংয়ের ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে পারবো। বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি হেলথ ডেটার পাশাপাশি এডুকেশন ডেটা, মোবাইল অপারেটরদের ডেটাগুলোকে আমরা যদি প্রসেসেবল করতে পারি, তাহলে সেখান থেকে নতুন নতুন স্টার্টআপ উপহার দেয়া সম্ভব।”

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

তিনি আরও বলেন, “আইসিটি বিভাগ থেকে আমরা স্টার্টআপ বাংলাদেশ লি. কোম্পানি স্থাপন করেছি। যেখান থেকে আমরা ৫০টি কোম্পানিতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্টের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। আগামী ৫ বছরের মধ্যে আরও ৫টি ইউনিকর্ণ প্রতিষ্ঠান এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০টি ইউনিকর্ণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন অর্জনে আমাদের স্টার্টআপরাই হবে মূল চালিকাশক্তি।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *