আজিয়াটাকে বাংলাদেশে ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ক.বি.ডেস্ক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার শীর্ষ টেলিকম প্রতিষ্ঠান আজিয়াটাকে বাংলাদেশে ৫জি সেবা চালু এবং দেশের ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট অপরিহার্য এবং বৈশ্বিক কোম্পানিগুলোকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের জন্য বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থান করা হোটেলে আজিয়াটা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ আহ্বান জানান। আজিয়াটা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আজিয়াটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহরিল রিদজা রিদজুয়ান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আজিয়াটা বারহাদ গ্রুপের সিইও বিবেক সুদ, আজিয়াটা গ্রুপের প্রধান নিয়ন্ত্রক ও সরকারি বিষয় সংক্রান্ত কর্মকর্তা ফুঙ চি কিয়ং, প্রধান ব্যবসা ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা থমাস হান্ডট, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার শীর্ষ টেলিযোগাযোগ অপারেটরদের জন্য আরও ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে লাইসেন্সিং ব্যবস্থাগুলোকে সহজতর করছে। বেসরকারি খাত এবং নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে আরও শক্তিশালী সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কাছাকাছি আসা এবং একে অপরকে বোঝা।”
বিবেক সুদ বলেন, “আজিয়াটা বাংলাদেশে ৫জি ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ ৫জি সেবা বাস্তবায়নের জন্য দেশের ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ অপরিহার্য। রবি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং ৫জি সেবা চালু করতে আগ্রহী রয়েছে। এ ছাড়া, আজিয়াটা বাংলাদেশে ডেটা সেন্টারের জন্য যৌথ উদ্যোগে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও আগ্রহী। ব্যয়বহুল স্পেকট্রাম ফি এবং বিচ্ছিন্ন লাইসেন্সিং ব্যবস্থাকে বিদেশি অপারেটরদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্তে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।”