উদ্যোগ

ইউবিএল এবং ওসিবি’র বিশেষ উদ্যোগ ‘ইকোসিস্টেম ইন অ্যাকশন’

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশে তরুণ নেতৃত্বাধীন উদ্ভাবনের সঙ্গে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির এক বিশেষ উদ্যোগ ‘ইকোসিস্টেম ইন অ্যাকশন’ গ্রহণ করেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) এবং অরেঞ্জ কর্নারস বাংলাদেশ। “ইকোসিস্টেম ইন অ্যাকশন: পাওয়ারিং ফিউচার বিল্ডারস” আয়োজনে তরুণ উদ্যোক্তারা বিনিয়োগকারী, কর্পোরেট নেতৃত্ব এবং উদ্যোক্তা সহায়তাকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পান।

সম্প্রতি ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কারস্টেন্স, বিকাশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর এবং ইউবিএল’র চেয়ারম্যান জাভেদ আখতার। সঞ্চালনা করেন সাজিদা ফাউন্ডেশনের ইমপ্যাক্ট পার্টনার্স বিভাগের প্রধান সারা ইকবাল।

আয়োজনে ওঠে আসে নেতৃত্ব, ব্যবসার প্রবৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে উদ্যোক্তা হিসেবে টিকে থাকার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ। কীভাবে বড় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অংশীদারদের সঙ্গে আস্থা গড়ে তোলা যায়, অনিশ্চয়তা সামলে পথ খুঁজে নেয়া যায় এবং কীভাবে বেসরকারি খাতের সহযোগিতায় একটি ইতিবাচক প্রভাব তৈরিকারী ব্যবসাকে বৃহৎ পরিসরে এগিয়ে নেয়া সম্ভব- এসব বিষয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল ‘ট্রেইলব্লেজার গ্যালারি’, যেখানে অরেঞ্জ কর্নারস-এর পোর্টফোলিওভুক্ত পাঁচটি উদ্ভাবনী স্টার্টআপ- বিডি রিসাইকেল টেকনোলজিস, ড্রিপ ইরিগেশন বিডি, পলকা ফ্লেক্স, অ্যাকোয়ালিংক বাংলাদেশ এবং ওয়াট মোটরস তাদের অসাধারণ ও নতুন ধরনের সমাধান উপস্থাপন করে।

এই উদ্যোগগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, কৃষি প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব যাতায়াত এবং বৃত্তাকার অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে কাজ করছে। অন-ডিমান্ড রিসাইক্লিং সেবা, সৌরচালিত সেচ ব্যবস্থা, সহজে পচনশীল ফ্লেক্স ব্যানার, পরিবেশ পর্যবেক্ষণের যন্ত্র এবং হালকা ইলেকট্রিক যানবাহনের মতো নানা উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে এই তরুণ উদ্যোক্তারা সৃজনশীলতা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে জরুরি সমস্যাগুলোর টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।

এবারের আয়োজনে উদ্যোক্তারা সম্ভাব্য অংশীদার, ক্লায়েন্ট, বিনিয়োগকারী ও সহযোগীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ের সুযোগ পান। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়, পাশাপাশি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা পরিমণ্ডলে তাদের উপস্থিতি আরও দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। বেসরকারি খাতের জন্য এটি ছিল একটি বিশেষ সুযোগ, তারা এমন সব প্রাথমিক পর্যায়ের উদীয়মান স্টার্টআপের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছে, যারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে বাজারের জন্য প্রস্তুত এবং কার্যকর ও প্রভাবশালী সমাধান নিয়ে কাজ করছে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *