ডেটার মূল্য অবশ্যই কমাতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
ক.বি.ডেস্ক: আমরা পরিষেবাগুলোকে নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং বৈচিত্র্যময় করতে চাই। এর জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা তা করব। ডেটার মূল্য কমানো হবে কারণ এটি হচ্ছে তার সংস্থার কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানের মূল অংশ। মূল্য পরিষেবার মূল চাবিকাঠি। ডেটার মূল্য অবশ্যই কমাতে হবে, কারণ এটি আমাদের পরিষেবা সরবরাহ পরিকল্পনার অংশ। আমরা শিল্প, জনসাধারণ এবং এই বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি স্বচ্ছ উপায়ে তা করতে চাই।
গতকাল সোমবার (৪ নভেম্বর) টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) এর উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত “ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের গুরুত্ব” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তৃতাকালে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী এসব কথা বলেন।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নুরুল মাবুদ চৌধুরী, ফাইবার এট হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মইনুল হক সিদ্দিকী, রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম, বাংলালিংক চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান, অ্যামটব সেক্রেটারি জেনারেল লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার, আইএসপিএবি সভাপতি এমদাদুল হক, সামিট কমিউনিকেশন্স চিফ নেটওয়ার্ক আর্কিটেক্ট ফররুখ ইমতিয়াজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোসাদ্দেক কামাল তুষার, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার।
গোলটেবিল বৈঠকে মূল বক্তব্য রাখেন টিআরএনবির সাবেক সভাপতি রাশেদ মেহেদী। টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
চেয়ারম্যান মো. এমদাদ উল বারী বলেন, “শুধুমাত্র ডেটার মূল্য কমিয়ে নেটওয়ার্ককে বিপদে ফেলে টিকে থাকা সম্ভব নয়। আমাদের মূল কথা হল পরিষেবাটি জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া। ব্যবসাকে টেকসই করা আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য নয়, আমরা একটি উপায় হিসাবে ব্যবসাকে টেকসই করব। সেবাই আমাদের লক্ষ্য। পরিষেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য যা যা করা দরকার তা আমরা করবো। যদি আমরা মনে করি ২-৪টি এনটিটিএন কোম্পানি মান তৈরি করতে পারে, তাহলে আমরা তা সীমাবদ্ধ রাখব। তা না হলে আমরা (এনটিটিএন লাইসেন্স) সংখ্যা বাড়িয়ে দেব। আমরা ভয়েস ফ্রেন্ডলি নেটওয়ার্ক থেকে ডেটা ফ্রেন্ডলি নেটওয়ার্কে যেতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “ইউনিফাইড লাইসেন্স বিবেচনার বিষয়, আর প্রযুক্তি-নিরপেক্ষতা ব্যবসার বিতর্কের বিষয়। আমাদের ব্যাপক চিন্তাভাবনার পরে সবকিছু করতে হবে। তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ না নিয়ে, আমরা সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে আরও ভাল চিন্তাভাবনা করতে চাই। আমরা টেকসই নেটওয়ার্ক, টেকসই শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সুষম ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে পারি যাতে সবাই তাদের কাজ করতে পারে। কেউ দুর্বল হলে আমরা তাদেরকে নীতিগত সমর্থন দিব। দেশের তরুণ প্রজন্মের অল্প কিছু বিনিয়োগে কিছু ক্ষেত্রে ব্যবসা করার সুযোগ রয়েছে। বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণী ডিজিটাল সেবা এবং ইন্টারনেট সেবা বা সংশি¬ষ্ট ব্যবসা করতে পারে। তরুণরা এই ধরনের ব্যবসায় সম্পৃক্ত না থাকলে তারা বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকত যা আমাদের অনেকেরই অপছন্দ।”