লাইসেন্স পুনর্বহালের জন্য বিটিআরসিতে সিটিসেলের আবেদন
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ এর প্রথম বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠান সিটিসেল তাদের বাতিল হওয়া লাইসেন্স পুনর্বহালের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর কাছে চিঠি দিয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর বিটিআরসিতে এ চিঠি পাঠায় সিটিসেলের মালিক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম। এতে তারা অপারেটিং এবং রেডিও ইক্যুইপমেন্ট লাইসেন্স দুটি ফেরত চেয়েছে।
চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রথমে তাদের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে সিটিসেলের কার্যক্রম। সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দায়ী করা হয়। পরে আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় লাইসেন্স বাতিল হয়। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষের নয় এমন একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সিটিসেল যুক্ত ছিল, এমন ‘অযৌক্তিক ধারণা’ থেকে লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
দেশে সিডিএমএ প্রযুক্তির একমাত্র মোবাইল অপারেটর ছিল সিটিসেল। ২০১৭ সালের ১১ জুন বিটিআরসি সিটিসেলের তরঙ্গ বন্ধ করে দেয়। তখন বিটিআরসি জানিয়েছিল, ২১৮ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, গত আট বছরে সিটিসেলের মূল কোম্পানি প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (পিবিটিএল) বিটিআরসি’র পক্ষপাতদুষ্ট, অপ্রীতিকর ও অসৎ উদ্দেশে নেয়া সিদ্ধান্ত ও মূল্যায়নের শিকার হয়েছে। তরঙ্গ বন্ধ করায় গত ৮ বছরে ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বকেয়া, অবকাঠামোর ক্ষতি-সব মিলিয়ে তাদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
৮ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। এতে সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তারা এখন লাইসেন্স বাতিলের জন্য জারি করা পত্রের প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স চায়, যাতে ৫জিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা এজন্য অর্থ পরিশোধ করবে, তবে তা রাজস্ব আদায়ের পর।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে সিটিসেলের কার্যক্রম। সময়মতো বকেয়া পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৬ সালের অক্টোবরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি একটি প্রযুক্তি দল ঢাকার মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে যায় এবং প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্ক সুইচ বন্ধ করে দেয়।
