গ্রামীনফোনে এক দিনের সিইও কিশোরী মালেকা
ক.বি.ডেস্ক: আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে মেয়েদের অমিত সম্ভাবনা ও সক্ষমতার উপযাপনে নিজেদের বৈশ্বিক সাসটেইনিবিলিটি অংশীদার প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে গ্রামীণফোন। নেতৃত্ব দান এবং বিভিন্ন শিল্পখাত সম্পর্কে গভীরভাবে জানার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে মেয়েদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের অনুপ্রাণিত করে তোলাই ছিল এ উদ্যোগ গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য।
অনুপ্রেরণাদায়ক এ আয়োজনের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপিহাউজে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে প্রতীকী দায়িত্ব পালনের সুযোগ পায় ঢাকার উপকণ্ঠ থেকে উঠে আসা ১৭ বছর বয়সী কিশোরী মালেকা। একদিনের জন্য গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানের পদে প্রতীকী দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে দেশের হাজারও কিশোরী ও তরুণীর অন্তর্নিহিত সম্ভাবনা আর উচ্চাকাঙ্খার প্রতীক হয়ে ওঠেন মালেকা।
অনুষ্ঠানে ইয়াসির আজমান মালেকাকে স্বাগত জানান এবং গ্রামীণফোনের সিনিয়র লিডারশিপ টিমের অংশ করে নেন। পাশাপাশি, টেলিযোগাযোগ খাত সম্পর্কে গভীরভাবে জানা, প্রযুক্তি বিশ্বে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন কীভাবে কাজ করে তা বোঝা এবং গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দা তাহিয়া হোসেন-এর কাছ থেকে ক্যারিয়ারে সাফল্য অর্জনে পরামর্শ গ্রহণের অনন্য সুযোগ পান মালেকা।
বিশ্বব্যাপী প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উল্লেখযোগ্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। দেশজুড়ে ব্যবসা, গণমাধ্যম, প্রযুক্তি ও রাজনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চতর পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে নারীদের অমিত সম্ভাবনার উদযাপন এবং স্বীকৃতি দেওয়াই এ ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য।
ইয়াসির আজমান বলেন, আমাদের অংশীদার প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় গার্লস টেকওভার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতাটি দারুণ ছিল। আমরা বিশ্বাস করি, লৈঙ্গিক পরিচয় কখনওই সাফল্যের পথে বাধা হওয়া উচিত নয় এবং এ ব্যাপারে সচেতনতা ও ইতিবাচকতা তৈরিতে এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করার ক্ষেত্রে আমরা ভূমিকা রাখতে আগ্রহী, যাতে নারীরা এগিয়ে যেতে পারেন এবং সক্ষমতা অনুযায়ী নেতৃত্বদায়ক অবস্থান অর্জন করতে পারেন।
মালেকা বলেন, নতুন এ দায়িত্ব গ্রহণের অভিজ্ঞতা আমার আত্মবিশ্বাস এবং জ্ঞান বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি আমার কমিউনিটির অন্য মেয়েদের আমার অভিজ্ঞতা এবং কী শিখলাম তা জানাবো, যাতে তারাও সমাজের শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থানের উচ্চাকাঙ্খা ধরে রাখে। আমাদের অবশ্যই এই বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে যে, বিশ্বকে নেতৃত্বদানের, উদ্ভাবনের এবং ইতিবাচক পরিবর্তন তৈরির পূর্ণ সম্ভাবনা আমাদের মধ্যে রয়েছে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পরিচালক নিশাত সুলতানা বলেন, গার্লস টেকওভারের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের নেতৃত্বের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখি এবং একসঙ্গে আমরা নতুন করে ভবিষ্যৎ রচনা করছি। যখন মেয়েরা নেতৃত্ব দেয়, তখন গোটা বিশ্ব সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে। আসুন, আমরা প্রতিটি মেয়ের সীমাহীন সম্ভাবনাকে উদযাপন করি এবং এমন একটি বিশ্ব তৈরিতে একসঙ্গে কাজ করি, যেখানে তারা উন্নতি করতে পারে, নেতৃত্ব দিতে পারে এবং অনুপ্রাণিত করতে পারে।