মোবাইল স্মার্টফোন

থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের নতুন স্মার্টফোন আনছে ইনফিনিক্স

ক.বি.ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনের ডিসপ্লের ক্ষেত্রে প্রথাগত ফ্ল্যাট স্ক্রিন এবং থ্রিডি কার্ভড বা বাঁকানো ডিসপ্লের মধ্যে কোনটি সেরা, সেটি নিয়ে তর্ক চলে আসছে। যদিও উভয় ডিসপ্লেরই বেশ কিছু সুবিধা আছে, তবে নান্দনিকতা এবং কার্যকারিতার চমৎকার সমন্বয়ের জন্য বর্তমান তরুণদের কাছে থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশেষ করে যারা ডিভাইসে নতুনত্ব ও স্টাইল খুঁজছেন, তাদের কাছে কার্ভড ডিসপ্লে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে।

ইনফিনিক্স তাদের আসন্ন নোট ৪০ সিরিজের নতুন স্মার্টফোনে থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে যুক্ত করছে। নতুন এই মডেলটি তরুণ এবং টেক-স্যাভি ইউজার অর্থাৎ যারা নতুন প্রযুক্তিপণ্য ও ডিজিটাল গ্যাজেট সহজে ব্যবহার করতে পারেন, ভালোভাবে বুঝতে পারেন; তাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়নের ইনফিনিক্স যে লক্ষ্যে কাজ করছে, তার প্রতিফলন ঘটবে।

শুধু নান্দনিকতার জন্য নয়, থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের বাঁকানো প্রান্তগুলো ব্যবহারকারীদের দেয় এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। পড়াশোনা, গেম খেলা, মোবাইলে প্রিয় অনুষ্ঠান দেখা কিংবা কাজের সময় মাল্টিটাস্কিং করার ক্ষেত্রে স্মুথ অভিজ্ঞতা পান ব্যবহারকারীরা। অন্যদিকে ডিভাইসের চারপাশে থাকা বাঁকানো কোণাগুলো কেবল দেখতেই দৃষ্টিনন্দন নয়, এটি এর্গোনোমিক গ্রিপ তৈরি করতে সহায়তা করে; ফলে ডিভাইসটিকে আরও হালকা মনে হয় এবং সহজেই বহন করা যায়।

অন্যদিকে, ফ্ল্যাট ডিসপ্লে গতানুগতিক, সহজবোধ্য ব্যবহার অভিজ্ঞতা দিলেও থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের মতো এটি ত্রিমাত্রিক নয়। ফ্ল্যাট বা সমান্তরাল ডিসপ্লের ডিভাইস হাতে নিলে একটু হার্ড মনে হতে পারে এবং ভিডিও বা গেম খেলার ক্ষেত্রে তা স্বাচ্ছন্দ্যকর অনুভূতি দেয় না। দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট ডিসপ্লে টেকসই হলেও কার্ভড ডিসপ্লের মতো এটি মসৃণ, মর্ডান লুক এবং আরামদায়ক অভিজ্ঞতা দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকাংশেই পিছিয়ে।

আসন্ন নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ইনফিনিক্স ব্যবহারকারীদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে তাদের ডিজাইন করা নমনীয়তা এবং কার্যকারিতার একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ অফার করছে। নতুন নোট সিরিজের মডেলটিতে থাকছে ৩৩ ওয়াটের ফার্স্ট চার্জার। এটি ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিংয়ের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফোনের পেছনে থাকা চার্জারটি দিয়ে সইজেই স্ন্যাপ এবং পাওয়ার আপ করা যাবে। দ্রুতগতি সম্পন্ন হওয়ায় একইসঙ্গে এই ডিভাইস শিক্ষার্থী এবং তরুণ পেশাদারদের দ্রুত-গতির জীবনধারার সঙ্গে পুরোপুরি উপযুক্ত।

নতুন এই ডিভাইসে যোগ করা হয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের একটি মেইন ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। ফ্ল্যাগশিপের ট্যাগ ছাড়াই গ্রাহকরা স্মার্টফোনটিতে ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল সব বৈশিষ্ট্য পাবেন। রাতে পড়াশোনা থেকে শুরু করে উইকেন্ডে অ্যাডভেঞ্চার পর্যন্ত জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো ক্যাপচার করার জন্য একটি নিখুঁত সঙ্গী হবে এই ডিভাইসটি।

যারা বাজেট ফ্রেন্ডলি ভালো পারফরম্যান্সের একটি ফোনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন, তাদের জন্য খুব শিগগিরই বাংলাদেশের বাজারে আসতে যাচ্ছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের নতুন ফোনটি। নোট ৪০ প্রো উন্মোচনের পর যারা ইচ্ছে থাকলেও শুধু বাজেটের কারণে ডিভাইসটি কিনতে পারেননি, তাদের জন্য নতুন ডিভাইসটি চাহিদা এবং বাজেটের সম্বন্বয় ঘটাতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *