সাম্প্রতিক সংবাদ

যানজট কমাতে ‘পে-পার্কিং’ চালু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন

ক.বি.ডেস্ক: যানজট কমাতে নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় পরীক্ষামূূলকভাবে ‘পে-পার্কিং’ চালু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। বি-ট্র্যাক সলিউশন’র সহায়তায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে আগ্রাবাদে সিলভার স্পুনের সামনে এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সড়কে মোট ১৭৭টি গাড়ির পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাগরিকরা ‘ইয়েস পার্কিং’ অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন এবং নগদ টাকা দুইভাবেই পার্কিংয়ের জায়গা ভাড়া নিতে পারবেন।

পে-পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গাটিকে ‘ইয়েস পার্কিং’ নামে অবহিত করা হয়। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০০টি গাড়ি রাখার জায়গা থাকবে এখানে। সেখানে যারা পার্কিং করবেন তাদের তিন চাকা (অটোরিকশা/সিএনজি ইত্যাদি) ও চার চাকার (প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মিনিবাস, জিপ, পিকআপ ইত্যাদি) গাড়ি রাখতে ঘণ্টায় ৩০ টাকা দিতে হবে।

এসব গাড়ি সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা রাখতে চাইলে দিতে হবে ২০০ টাকা। এ ছাড়া মোটরসাইকেল বা স্কুটি রাখতে ঘণ্টায় দিতে হবে ১৫ টাকা এবং সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাখলে দিতে হবে ১০০ টাকা।

গতকাল রবিবার (৩০ জুন) হোটেল আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীতে প্রথম এ সেবা উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, চসিক’র সিইও শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মাসুদ আহাম্মদ, চসিক’র সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী, পে-পার্কিংয়ের সদস্য সচিব সহকারী প্রকৌশলী মাহুদ শাফকাত আমিন, বি-ট্র্যাক সলিউশনের সিইও এম তানভীর সিদ্দিকী, প্রকল্প প্রধান সাফায়েত আবদুল্লাহ, ডেপুটি ম্যানেজার মো. শাহ ফারুক এবং হেড অব সেলস সিরাজ উদ্দিন।

মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “নাগরিক সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল সলিউশন আনার চেষ্টা করছি। এর অংশ হিসেবে যানজট কমাতে আগ্রাবাদে পে-পার্কিং চালু করা হলো। এই পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে নগরীতে আরও পে-পার্কিং স্পট চালু করা হবে। এরইমধ্যে নগরীর ঝুলন্ত তারের জঞ্জাল সরাতে ৩ ওয়ার্ডে ঝুলন্ত তারকে মাটির নিচে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।”

মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, “নগরীতে গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা তা পে-পার্কিংয়ের মাধ্যমে লাঘব হবে বলে আশা করি। আধুনিক সিগন্যাল সিস্টেম চালু হলে যানজট কমবে।”

পার্কিংয়ের কার্যক্রম সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বুকিং চলমান থাকবে। বুকিং পরবর্তী সময়ের পরে অবস্থানকারী যানবাহনের নিরাপত্তা ও সেবাগ্রহীতা নির্ধারিত ফির দ্বিগুণ হারে প্রদান সাপেক্ষে পার্কিং ব্যবহার করবে। পে-পার্কিং থেকে যা আয় হবে তার ৩৫ শতাংশ পাবে চসিক।

অর্জিত আয়ের হিসাব চসিক ও বি-ট্র্যাক সলিউশনস লিমিটেডের গঠিত আর্থিক পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে। এদিকে চসিকের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পে-পার্কিং থেকে ৫০ লাখ টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *