সাম্প্রতিক সংবাদ

আমি প্রবাসী হেল্প ডেস্কে যুক্ত হল নতুন মাত্রা

ক.বি.ডেস্ক: এটুআই প্রকল্পের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল সেন্টারভিত্তিক ‘প্রবাসী হেল্পডেস্ক’ বাস্তবায়নে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আমি প্রবাসী লিমিটেড। দ্বিতীয়বারের মতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৩০০ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য আমি প্রবাসী’র অন্তর্ভুক্ত ফিচারসমূহ নিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক এই প্রশিক্ষণ আয়োজিত হয়।

আমি প্রবাসীর তিন দিনব্যাপী এই দক্ষতা বৃদ্ধিমুলক প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে উদ্যোক্তাগণ বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন, পিডিও সার্টিফিকেট ছাড়াও ওয়ান-স্টপ ক্লিয়ারেন্স সম্পর্কে ধারনা লাভ করেন। পাশাপাশি আমি প্রবাসীর নব্য সংযোজিত ‘কন্সাল্টেন্সি’ পরিষেবা এবং ‘জব ম্যাচমেকিং’ পরিষেবা সম্পর্কে জানতে পারেন।

আমি প্রবাসী অন্তর্ভুক্ত নতুন এই পরিষেবা ‘জব ম্যাচমেকিং’-এর মাধ্যমে অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মী সহজেই চাকরি খুঁজে নিতে পারবেন আমি প্রবাসীর সার্ভার থেকে। এ ছাড়া আমি প্রবাসীর কন্সালটেন্সি পরিষেবার মাধ্যমে অভিবাসন প্রার্থীর সিভি তৈরি সহ কাজ নিয়ে বিদেশ যেতে সাহায্য করা হবে। এতে বিশ্বজুড়ে তৈরি হবে নতুন কর্মক্ষেত্রের সম্ভাবনা।

কর্মশালায় উদ্যোক্তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামেরব সঙ্গে যা আমি প্রবাসী অ্যাপ এবং ওয়েব পোর্টালের আরও একটি নতুন সংযোজন। বিদেশ ফেরত কর্মী হিসেবে ব্র্যাকের রিইন্ট্রিগেশন প্রোগ্রামে তালিকাভুক্ত হতে, যেতে হবে না কোনও অফিসে। আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমেই করা যাচ্ছে ব্র্যাক রিইন্ট্রিগেশন আবেদন।

সম্প্রতি রাজধানীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনের মিলনায়তনে প্রশিক্ষণটির সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন এটুআই’র যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক মোল্লা মিজানুর রহমান, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও অর্থ) জসীম উদ্দীন হায়দার এবং আমি প্রবাসী’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নামির আহমেদ নুরি।

মোল্লা মিজানুর রহমান বলেন, “আমি প্রবাসী অ্যাপ এ অনেক ধরনের সার্ভিস রয়েছে। একটা জায়গা থেকে আপনারা সব ধরনের সুযোগ পেতে পারেন। আমরা অনেক সময় জানি না বিদেশে কতজন লোক যাচ্ছে কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে কতজন লোক নিচ্ছে। আমি প্রবাসীর মাধ্যমে তা জানা যাচ্ছে। এই তথ্যগুলো জনগনের কাছে পৌছলে তাদের আর হয়রানির শিকার হতে হবে না এবং বৈধভাবে বিদেশ যেতে পারবে।”

নামির আহমেদ নুরি বলেন, “আমি প্রবাসী এবং এটুআই’র এই সহযোগিতামূলক সম্পর্কের ফলাফল হিসেবে আমি প্রবাসী দেশের সবচেয়ে বড় ট্যালেন্ট পুল তৈরি করতে পারবে, এতে তৈরি হবে বিদেশে চাকরির বাজারের সঙ্গে আপামর গ্রাম বাংলার অভিবাসন প্রত্যাশীদের সরাসরি সংযোগ এবং ফলাফল স্বরূপ কমবে অসাধুচক্রের ওপর নির্ভরশীলতা।”

কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (নির্বাহী সেল ও পিইপিজেড) শাহিদা সুলতানা এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট উপ-মহাব্যবস্থাপক ও অধ্যক্ষ ইস্কান্দার পারভেজ।

শাহিদা সুলতানা বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে তৈরি হতে, উন্নত দেশসমূহের মতো আমাদের দেশেও পরিষেবা কেন্দ্রিক কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে প্রয়োজনীয় পরিষেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আমরা বিশ্বাস করি।”

চাকরি নিয়ে বিদেশ যেতে আগ্রহী বাংলাদেশি নাগরিকদের সকল তথ্য ও সেবা দিয়ে সহায়তা করার লক্ষ্যে ২০২১ সালে ৮ মে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)-এর ডিজিটাল সল্যুশন প্রোভাইডার হিসেবে আমি প্রবাসী যাত্রা করে।

ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ লক্ষ ব্যবহারকারী আমি প্রবাসী অ্যাপ থেকে সেবা পেয়েছেন। আমি প্রবাসী অ্যাপ এবং ওয়েবপোর্টালে বিএমইটি ডাটাবেজ রেজিস্ট্রেশন, প্রি-ডিপার্চার ওরিয়েন্টেশন (পিডিও) সেশন বুকিং, বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট, বিএমইটি ক্লিয়ারেন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও বাধ্যতামূলক সরকারি পরিষেবাসমূহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা যাচ্ছে। অভিবাসনকে আরও সহজতর এবং নির্ঝঞ্ঝাট করার লক্ষ্যে আমি প্রবাসীর নতুন সংযোজন ‘কন্সাল্টেন্সি’ এবং ‘জব ম্যাচমেকিং’ এর মাধ্যমে অভিবাসনে বিরাজমান অসাধু চক্রকে যেমন সমূলে উৎপাটন সম্ভব, তেমনি এর ফলে উন্মোচন হবে বৈদেশিক চাকরির বাজারের বিশাল সম্ভাবনা।

২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখছে আমি প্রবাসী। সম্পূর্ণ অভিবাসন প্রক্রিয়া পদ্ধতিকে আরও সাশ্রয়ী, স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য করে তুলতে ‘ওয়ান-স্টপ সলিউশন’ হিসেবে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি। পাশাপাশি অভিবাসন এবং অভিবাসীদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমি প্রবাসীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে, ব্র্যাক, এটুআই এর মতো অংশীজন, যার সুফল পাচ্ছে অভিবাসী কর্মী, অভিবাসনের সঙ্গে যুক্ত সকল পক্ষ এবং সর্বোপরী বাংলাদেশের অর্থনীতি।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *