সাম্প্রতিক সংবাদ

ডিএনসিসি’র ছয়টি কোরবানির পশুর হাটে হবে ডিজিটাল লেনদেন

ক.বি.ডেস্ক: ‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, স্মার্ট হচ্ছে বাংলাদেশ’ স্লোগানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ছয়টি কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়। ডিএনসিসি’র ছয়টি কোরবানির হাটে নগদ টাকা ছাড়াই ডিজিটাল উপায়ে মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে কোরবানির পশু কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।

হাটগুলো হলো- উত্তরা ডিয়াবাড়ি ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর ও তৎসংলগ্ন খালি জায়গার অস্থায়ী হাট, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও তৎসংলগ্ন খালি জায়গার অস্থায়ী হাট, মিরপুর সেকশন-৬ এর ওয়ার্ড নম্বর ৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) খালি জায়গায় বসা হাট, ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গায় (ভাটারা সুতিভোলা) হাট, গাবতলী গবাদি পশুর হাট (স্থায়ী), বছিলার ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গার অস্থায়ী হাট।

গতকাল বুধবার (১২ জুন) ডিএনসিসি’র নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসি’র কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ডিএনসিসি’র মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি’র সিইও মীর খায়রুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সায়েদুর রহমান ও পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মুতাসিম বিল্লাহ, ডিএনসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, এবিবি’র চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. ইমরান হোসেন।

ডিএনসিসি’র কোরবানির পশুর হাটে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, সিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক , মাস্টারকার্ড, অ্যামেক্স, ভিসা, বিকাশ, নগদ এবং বিডিএফএ। ২০২২ সালে স্মার্ট ডিএনসিসির কোরবানির হাটে পাইলট কার্যক্রমে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল। ২০২৩ সালে ৪৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এ বছর ৮০ কোটি টাকা লেনদেন আশা করা হচ্ছে।

মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, “কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে প্রচুর টাকা লেনদেন হয়। এই উদ্যোগের ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি, নকল বা ছেঁড়া-ফাটা নোট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান হবে। ছিনতাই, মলম পার্টির খপ্পড় থেকে রক্ষা পাবেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। হাটে ডিজিটাল বুথ স্থাপন করে অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে ক্রেতার হিসাব থেকে বিক্রেতার হিসেবে পৌঁছে দেয়া হবে। হাটের বুথ থেকে ক্রেতারা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এটিএম বুথ, পিওএস মেশিন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, কিউআর কোডের মাধ্যমে নগদ অর্থ তুলে হাট থেকে কেনা গরুর মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। পাশাপাশি হাটের হাসিলও দিতে পারবেন এই পদ্ধতিতে। একই সুবিধা ব্যবহার করে বিক্রেতারা তাদের কোরবানির পশু বিক্রির অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *