অন্যান্য মতামত

অবৈধ স্মার্টফোন কিনতেও গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভ্যাট

প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের স্মার্টফোন বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পূর্বের ৫ শতাংশ ভ্যাটের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরও ৫ শতাংশ ভ্যাট। এর মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার একটি স্মার্টফোনে গ্রাহককে ভ্যাট প্রদান করতে হবে প্রায় অতিরিক্ত ১ হাজার থেকে ১১ শত টাকা। স্মার্টফোন বিক্রয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছ থেকে যে ভ্যাট আদায় করা হয় তার ৫০% অবৈধ এবং গ্রে- মার্কেটের স্মার্টফোন থেকে বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপ করে গ্রাহকদের পকেট থেকে অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা অর্থ আদায়ের যে পরিকল্পনা নিয়ে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে তার সম্পূর্ণভাবেই অযৌক্তিক শুধু নয় এটি এক ধরনের প্রতারণা গ্রাহকের সঙ্গে। কারণ দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ৬ কোটি স্মার্টফোনের চাহিদার বিপরীতে দেশে অ্যাসেম্বলিং পর্যায়ের উৎপাদন কারখানা ১৭টি মিলিয়ে উৎপাদন করে ২.৫ কোটি। অন্যদিকে বৈধভাবে আমদানি হয় প্রায় ১.৫ কোটি।

আমাদের দাবি অবৈধ স্মার্টফোনের জন্য গ্রাহক কেন ভ্যাট প্রদান করবে?

মহিউদ্দিন আহমেদ- সভাপতি বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন

অন্যদিকে অবৈধভাবে চোরা কারবারি এবং গ্রে মার্কেটের স্মার্টফোন আমদানি হয় প্রায় ২-৩ কোটি। বৈধভাবে আইফোন ১০০০ হ্যান্ডসেটে আমদানির বিক্রি মাত্র পাঁচ শতাংশ হলেও সংযুক্ত হওয়া আইফোনের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার। শোরুম এবং দোকান থেকে ক্রয় করার সময় গ্রাহকের কাছ থেকে বৈধ-অবৈধ সব স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ভ্যাট আদায় করা হয়। যা সম্পূর্ণভাবেই অবৈধ। সরকার এ রাজস্ব কিভাবে আদায় করে তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।

অন্যদিকে এ সকল বিক্রয়কারী দোকান এবং শোরুম থেকে প্রকৃতপক্ষে সরকার রাজস্ব পায় কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখা হোক। আমাদের দাবি অবৈধ স্মার্টফোনের জন্য গ্রাহক কেন ভ্যাট প্রদান করবে? বিষয়টি অর্থ বিভাগ রাজস্ব বিভাগ এবং নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি কে ভেবে দেখতে হবে। আর এ সকল অতিরিক্ত ভ্যাট আদায়ের কারণে প্রযুক্তিতে সংযুক্ত হতে পারছে না যেখানে এখনো দেশের প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ সেখানে হ্যান্ডসেট বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নতুন করে ভ্যাট আরোপ করা সম্পূর্ণভাবেই সরকারের নীতির পরিপন্থী।

বিক্রয়কারী দোকান এবং শোরুম থেকে প্রকৃতপক্ষে সরকার রাজস্ব পায় কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখা হোক

মহিউদ্দিন আহমেদ- সভাপতি বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন

কারণ সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ২০৪১ সালের মধ্যে সবাইকে ইন্টারনেট সংযুক্তির মধ্যে আনা। আর তার জন্য প্রথমে প্রয়োজন একটি হ্যান্ডসেট এবং ইন্টারনেট। তাই বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিল করে অবৈধ হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে যাতে করে কোনোভাবেই ভ্যাট আদায় না করা হয় সে ব্যাপারে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা বিনীত অনুরোধ করছি।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *