অন্যান্য মতামত সাম্প্রতিক সংবাদ

টেকসই উন্নয়নে সাইবার নিরাপত্তা

ক.বি.ডেস্ক: সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও অক্টোবর মাসকে সাইবার সচেতনতা মাস হিসেবে উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে গত শুক্রবার (১ অক্টোবর) কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটিজ (সিসিএ) এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির উদ্যোগে ‘‘টেকসই উন্নয়নে সাইবার নিরাপত্তা’’ শীর্ষক একটি অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিসিএ’র নিয়ন্ত্রক আবু সাঈদ চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: মামুন অর রশীদ। আলোচক ছিলেন দৈনিক সমকালের সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, বাংলাদেশ পুলিশ’র এডিশনাল ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ এবং এটুআই’র চীফ টেকনোলজি অফিসার আরফে এলাহী। সভাপতিত্ব করেন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমীন।

জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলকক বলেন, ই-গভার্নমেন্ট বাস্তবায়নের ফলে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। করোনাকালে সাড়ে ৪ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন নিবন্ধন, আড়াই কোটি ভ্যাকসিন প্রদান, বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম ডেটা সেন্টার স্থাপনের নজির এবং সক্ষমতাও আমাদের রয়েছে। কিন্তু ডিজিটাল বিপ্লবের এ সব ম্লান করে দিতে পারে আমাদের সাইবার নিরাপত্তার ব্যর্থতা। আজকে এ সময়ে কোন দেশে ফিজিকাল অ্যাটাকের দরকার হয়না। সাইবার অ্যাটাকের এর মাধ্যমে একটি দেশকে অকার্যকর করে দেয়া যায়। এ বিষয়ে আমাদের যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের জানা-অজানায় আমরা ১৪ ধরনের সাইবার হামলার শিকার হই। বিজিডি ই-গভ সিআইআরটি, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি গঠন, অত্যাধুনিক ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনসহ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান ও করনীয় নির্ধারন কাজ করা হয়েছে। গ্লোবাল সাইবার ইন্ডেক্সে আমাদের অবস্থান ১৬০টি দেশের মধ্যে ৪১ তম। ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি ক্যাপাসিটি মডেল, ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার, সাইবার লিটারেট সোসাইটি এবং সাইবার ইকো-সিস্টেম গঠনের মধ্যে দিয়ে সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন, বিধি-বিধান প্রণয়ন, দক্ষ জনবলসহ কাঠামোগত সক্ষমতা অর্জন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে সহযোগিতা মিডিয়ার যথার্থ ব্যবহারের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সাইবার অপরাধ থেকে বেঁচে থাকার জন্য তিনি সবার আগে ব্যক্তি পর্যায়ের সচেতনতা তৈরীর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *