ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ পেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়
এটুআই’র কারিগরি সহযোগিতায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় ও ভূমি সংস্কার বোর্ডের সহায়তায় ‘ই-মিউটেশন’ বা ‘ই-নামজারি’ প্রকল্পটি সারা দেশে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশব্যাপী ই-মিউটেশন উদ্যোগ বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয় ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ’ ক্যাটাগরিতে ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ পেয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যেও বিশ্ব সংস্থা জাতিসংঘ সরকারি দপ্তরে সেবা কার্যক্রমের জন্য এই প্রথম বাংলাদেশের কোন মন্ত্রণালয়কে পুরস্কার প্রদান করে।
ই-নামজারির জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জন উপলক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। সঞ্চালক ছিলেন ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী। সংবাদ সম্মেলনে ই-নামজারি প্রকল্পের ওপর একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবদুল মান্নান।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির সম্মিলিত অর্জন। সরকারের বিনির্মিত সামগ্রিক ডিজিটাল কাঠামোর কারণে ভূমি সেবা ডিজিটালকরণ অনেক সহজ হয়েছে। ২০০৯ সালে গৃহীত ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাপরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সাল থেকে ই-নামজারি পাইলটিং শুরু হয়। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে সারাদেশে একযোগে শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন শুরু হয়। ভূমি অফিসে ই-নামজারি চালু হওয়ায় সেবা পেতে কম সময় ও কম খরচ হচ্ছে – এর ফলে নাগরিক সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দালালদের দৌরাত্ম্য ও মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতির সুযোগ কমছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ মূলত একটি পরিবর্তনের গল্প। শিক্ষা, স্বাস্থ্য’সহ অন্যান্য সেক্টরের মত ভূমি সেক্টরেও আমরা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য, অর্থাৎ হাতের মুঠোয় ভূমি সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। প্রায় ৩৬১৭টি ভূমি অফিসে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদানের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান বেগম উম্মুল হাছনা, এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তসলীমুল ইসলাম, সকল বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ, বয়েক জেলার আমন্ত্রিত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি)গণ।