প্রযুক্তিখাতকে জরুরী পরিষেবার অন্তর্ভূক্ত করার আহ্বান বিসিএস এর
ক.বি.ডেস্ক: কোভিড-১৯ এর বিস্তাররোধকল্পে শর্ত স্বাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপকে যথার্থ ও সময়োপযোগী মনে করে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস)। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কমপিউটার হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলা রাখার জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য, আইসিটি বিভাগ, ৮টি বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের আবেদন জানিয়েছে বিসিএস।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠানো আবেদনে ২০২০ সালে কোভিড ১৯ পরিস্থিতির কারণে সাধারণ ছুটিকালে আইসিটি বিভাগ কর্তৃক হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে জরুরী পরিষেবা বিবেচনায় সীমিত আকারে খোলা রাখা ও এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জনবলের অনুমতি প্রদান করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করে বিসিএসের আবেদনে বলা হয়, করোনার প্রাদুর্ভাবকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসেবাসহ সরকারী জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, আইটিএস, বিপিও, আইএসপি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সচল রাখা, ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য এটিএম বুথ চালু রাখা, অনলাইন/ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বাসায় বসে অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা, কল সেন্টারসহ সকল প্রকার জনগুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা চালু রাখতে কমপিউটার হার্ডওয়্যার পণ্য যেমন ল্যাপটপ, মডেম, রাউটারসহ কমপিউটারের আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতি, অনলাইন ইউপিএস অপরিহার্য।
সকল প্রকার জরুরী সেবা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে প্রযুক্তি পণ্যের গুরুত্ব উল্লেখ করে বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, লকডাউন সময়কালে তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্ব ও ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। বিদেশে রপ্তানী, জরুরী সময়ে জনগণের বাসায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছানো এবং রাষ্ট্রীয় জরুরী সকল সেবা সচল রাখতে হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী এবং সলিউশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও খোলা রাখা আবশ্যক। অন্যথায় থমকে যাবে জরুরী সেবা কার্যক্রম। এজন্য প্রযুক্তি পণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান এবং এখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের চলাচলের অনুমতি প্রদান করা উচিত। হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান/মার্কেটগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সীমিত আকারে খোলা রাখার প্রস্তাব করে এ সেবাকে জরুরী পরিষেবার অন্তর্ভূক্ত করার আহ্বান জানান বিসিএস সভাপতি।