এখনও টেশিসকে উতপাদনে নেয়ার সুযোগ আছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ক.বি.ডেস্ক: রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) পথ হারাতে বসেছে। প্রতিষ্ঠানটি যুগের চাহিদামতো প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে ব্যর্থ হচ্ছে। এর সম্পদ বেদখল হয়েছে। কল সেন্টার যন্ত্রপাতির চাহিদা কিছু থাকলেও ওল্ড স্কুল ল্যান্ডফোন সেট, পিএবিএক্স চাহিদা কমেছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস মিটার উৎপাদনে টেশিস একেবারে তলানিতে। যুগের পর যুগ ইনোভেশন না থাকায়, নতুন পণ্য না থাকায়, উৎপাদিত পণ্য রুপান্তর করতে ব্যর্থ বলে টেশিস ধ্বংস প্রায়।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, তবে এর কিছু প্রডাকশন ফেসিলিটি রয়েছে যা ইউনিক। অত্যন্ত চমকপ্রদ লোকেশন, বড় পরিসরের প্রোডাকশন ফ্লোর এবং বেশি কিছু প্রোডাকশন ফ্যাসিলিটি মিলিয়ে এখনও টেশিসকে উৎপাদনে নেয়ার সুযোগ আছে। বাংলাদেশে বেসিক ও লো-টেক কমিউনিকেশন যন্ত্রপাতি এখনও বেশুমার আমদানি হয়। সাধারণ সুইচ, হাব, ওয়াই-ফাই রাউটার, বিভিন্ন ধরনের চার্জার ও অ্যাডাপ্টার, সিসি ক্যামেরা, টিভি, পিসি ও ফোন অ্যাক্সেসরিজ, টিভির সেট-টপ বক্স এসব এখনও বিদেশ থেকে আমদানি হয়, কিছু ক্ষেত্রে কেজি দরে। এই হতাশাজনক আমদানীকে রিভার্স করতে না পারা লজ্জাজনক। সাধারণ গ্রেডের প্রযুক্তি পণ্যে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়ন করতে না পারাটা টেশিসের বড় ব্যর্থতা।
ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ১৯৬৭ সালে ‘টেলিফোন ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন’ নামে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এবং পশ্চিম জার্মানির সিমেন্স এজি-এর মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অত্যন্ত সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা করে প্রতিষ্ঠানটির এমন পথ হারনো মেনে নেয়া যায় না। মাঝখানে দোয়েল ল্যাপটপ উৎপাদনের গালগল্প আর শত কোটি টাকা লুটপাটের প্রজেক্ট করে জব্বার অ্যান্ড কো’র আওয়ামী সরকার একে আরেকদফা দেনায় ডুবিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দায়িত্ব নেয়ার পরে চেষ্টা করেছি, কয়েকটি কোম্পানি টেশিসের সঙ্গে যৌথ উৎপাদনের আগ্রহ দেখিয়েছে। সাফল্য এখনও আসেনি। তবে কিছু সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি টেশিস ২টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। একটি কোম্পানি ক্যাবল ও স্যাটেলাইট টিভির সেট-টপ বক্স বানাবে। অন্য একটি প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে লিথিয়াম আয়ন সেল এনে টেশিসে ব্যাটারি অ্যাসেম্বল করবে বলে আগ্রহ দেখিয়েছে। অদক্ষ হয়ে পড়া ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সাফল্য আনতে লম্বা পথ হাঁটতে হবে টেশিসকে। তবে রিভার্স জার্নিটা শুরু হোক। আপাতত আমরা টেশিসে ইন্ডাস্ট্রি থেকে একজন দক্ষ এমডি নিয়োগের চিন্তা করছি।