সাম্প্রতিক সংবাদ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

ক.বি.ডেস্ক: অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির একীকরণের মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়ন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশের আওতায় দেশের মাথাপিছু আয় ন্যূনতম পৌঁছাবে সাড়ে ১২ হাজার ইউএস ডলারে। আর জনসংখ্যার তিন শতাংশেরও কম দারিদ্র্যসীমা এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূল বসবাস করে। তিনি চারটি মূল স্তম্ভের ওপর জোর দিয়েছেন- স্মার্ট সিটিজেনস, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সোসাইটি।

গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৭.৯৭ লাখ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করে তিনি এ সব কথা বলেন। পেশাদার কূটনীতিক আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপন করেন। সভাপতিত্ব করেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ পরিকল্পনাকে সামনে রেখে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইসিটি খাতে আগামী ৫ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১০ লাখ স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এই খাতে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করা হয়েছে। ২০৩১ সালের মধ্যে অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, রোবোটিক্স, সেমিকন্ডাক্টর, ইলেকট্রিক ভেহিকেল, স্পেস ও জিওস্পেশিয়াল প্রযুক্তিসহ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি-ভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। আইসিটি খাতের রপ্তানির পরিমাণ আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৫ বিলিয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হবে। এ খাতের অংশীজনদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিটি সেক্টরে স্মার্ট হয়ে ওঠার মানদন্ড তৈরির পাশাপাশি তৃণমূলসহ দেশব্যাপী উদ্ভাবন ও গবেষণাকে উৎসাহিত করতে পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।”

গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের মন্ত্রীসভা কক্ষে মন্ত্রীসভার বিশেষ বৈঠক শেষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাক্ষর করেন ( ছবি সৌজন্যে: পিআইডি বিডি)

অর্থমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ এর লক্ষ্য পূরণের ফলে গত ১৫ বছরে আইসিটি খাতে ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ইন্টারনেটের মূল্য অনেক কমিয়ে ওয়েবভিত্তিক কর্মসংস্থান ও ব্যবসার সুযোগ প্রসারিত করা হয়েছে। গ্রামীণ জনপদে এর সুফল পৌঁছে দেবার জন্য স্বল্পমূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে। মোবাইল ফাইনান্সিয়াল ওয়ালেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ১২ কোটির ওপরে। সারাদেশে ৯ হাজারের অধিক ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজারের অধিক উদ্যোক্তা, যাদের ৫,৩৪৪ জন নারী এবং সাড়ে আট হাজার পোস্ট ই-সেন্টারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারছেন। এছাড়া যে কোন স্থান থেকে যে কোন সময়ে সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২৪০০ এর অধিক সেবাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *