ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাচ্ছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ক.বি.ডেস্ক: গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও বাস্তবে এটি ‘ডিজিটাল দ্বীপপুঞ্জের’ একটি নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্ন ডিজিটাল দ্বীপপুঞ্জ তৈরি করা হয়েছে এবং দ্বীপপুঞ্জগুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশে পরিষেবার চলমান রূপান্তরের ফলে ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল রবিবার (২৫ মে) রাজধানী ঢাকার সাত রাস্তায় ভূমি ভবনে ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ‘ভূমি মেলা-২০২৫’- এর আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা বলেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান এ জে এম সালাহউদ্দিন নাগরী, ভূমি অ্যাপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইবরাহিম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দিক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “ভূমি মন্ত্রণালয়ের পূর্বে পৃথক ডিজিটাল পরিষেবাগুলো এখন একটি একক প্ল্যাটফর্মে একীভূত করা হবে, যা ডিজিটাল রূপান্তরের গতি ত্বরান্বিত করবে। এই পরিবর্তন দুটি প্রধান ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হচ্ছে: প্রথমত, মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলোর রূপান্তরের মাধ্যমে এবং দ্বিতীয়ত, প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচিত একটি নাম ‘নাগরিক পরিষেবা’ নামক একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।”
তিনি আরও বলেন, “জিপিএস এবং জিও-ফেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূমি জরিপ পরিচালিত হবে, যার ফলে জমির মালিকরা চাইলে গুগল আর্থে জরিপ কার্যক্রম দেখতে পারবেন। পরবর্তী পর্যায়ে, এই জরিপের তথ্য ভূমি মালিকানা রেকর্ড, আইনি মামলার অবস্থা এবং রাজস্ব আদায়ের বিবরণের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। জমির অংশ সম্পর্কিত সকল তথ্য, মালিকানা, ম্যাপযুক্ত ইন্টারফেস একটি একক ডিজিটাল গেটওয়ের মাধ্যমে দেখা যাবে। এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে প্রকৃত ডিজিটালাইজেশনের বাস্তবায়ন ঘটবে।”